রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ। রোগীর বাড়ির আত্মীয়দের হাতে নিগৃহীত হন জুনিয়র ডাক্তাররা। রোগীর আত্মীয়দের ছোঁড়া ইটে মাথা ফেটে যায় জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের। লালবাজার সূত্রে জানা গেছে, এনআরএস কান্ডের তদন্ত হবে জয়েন্ট সিপি এসটিএফ-এর নেতৃত্বে।
পরিবহ মুখোপাধ্যায় ছাড়াও গুরুতর আহত হন আরও এক জুনিয়র ডাক্তার। রোগীর পরিবারের হাতে নিগৃহীত হওয়ার ঘটনায় রাত থেকেই বিক্ষোভে বসেন এনআরএস-এর জুনিয়র ডাক্তাররা। গেট বন্ধ করে দেন তাঁরা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সরকারি, বেসরকারি সমস্ত হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে ট্যাঙরার বিবি বাগানের বাসিন্দা মহম্মদ সাহিদকে (৬৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, সোমবার বিকেলের পর থেকে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই মহম্মদ সাহিদের মৃত্যু হয়। রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে এনআরএস।
মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় বৈঠকের পরেও মেলেনি কোনও সমাধানসূত্র। ২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও অচলাবস্থা জারি রয়েছে এনআরআস-এ। এদিকে এনআরএস-এ জুনিয়র ডাক্তারদের নিগ্রহের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টা আউটডোর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টর্স ফোরাম।