১৯৯৯ বিশ্বকাপের লান্স ক্লুজনারের ভূমিকায় এ বার দেখা যেতে পারে হার্দিক পান্ডিয়াকে। এমনই মনে করছেন স্টিভ ওয়। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন বিশ্বজয়ী অধিনায়কের কথায়, ‘নিজের ইনিংসের শুরু থেকেই মারার ক্ষমতা রয়েছে পান্ডিয়ার। ফিনিশার হিসেবে পান্ডিয়াকে থামানোর ক্ষমতা অনেক সময়ই প্রতিপক্ষ অধিনায়কের হাতে থাকে না। ঠিক যে ভূমিকাটা নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার লান্স ক্লুসনার। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে।’ সে বার টুর্নামেন্টের সেরা ছিলেন ক্লুসনার। সেমিফাইনালে অজিদের প্রায় হারিয়েও দিচ্ছিলেন।
তাঁর ব্যাট থেকে বেরিয়ে আসা শট আটকাতে সমস্যায় পড়বেন বিপক্ষ দলের অধিনায়কেরা। তাই ১৯৯৯ বিশ্বকাপে লান্স ক্লুজনার যে ভাবে দাপট দেখিয়েছিলেন, একই ভাবে চলতি বিশ্বকাপ শাসন করতে পারেন হার্দিক। মনে করছেন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ ওয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ক্লুজনার ২০ বছর আগে ইংল্যান্ডেই বিশ্বকাপে লোয়ার অর্ডারে নেমে ধ্বংসাত্মক ইনিংসে বিপক্ষ শিবিরে আতঙ্ক ধরিয়ে দিয়েছিলেন। মোট ২৮১ রান করেছিলেন ক্লুজনার। স্ট্রাইক রেট ছিল ১২২.১৭। যাকে টি-টোয়েন্টি যুগ শুরুর আগে দুরন্ত বলে মনে করা হয়। ক্লুজনার সে বার দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন। নাটকীয় ভাবে শেষ চারের লড়াইয়ে এক রান করলেই ফাইনালে উঠতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ম্যাচটা টাই হয়ে যায়। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে স্টিভ ওয়র অস্ট্রেলিয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়নের খেতাব জিতে নেয়। ‘‘ভারত যখন ওপেনিং জুটিতে বড় রান তুলে ফেলে, যে রকম অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওরা করেছিল, এর পরে ওদের বিরাট কোহালি বাকি ইনিংসটা সাজিয়ে নেয়,’’ লিখেছেন দু’বারের বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ। পাশাপাশি অভিজ্ঞ মহেন্দ্র সিংহ ধোনির প্রশংসা করে স্টিভ বলেছেন, ‘‘ধোনির কখনই দক্ষতা দেখানোর সুযোগ থাকলে ব্যর্থ হয় না। রবিবারের ম্যাচেও ধোনি সেটা দেখিয়ে দিয়েছে। যে জন্য ভারতের মোট রান ৩৫০-এর গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে।’’
এই জয় ভারতকে যে প্রচুর আত্মবিশ্বাস জোগাবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত স্টিভ। তিনি বলেছেন, ‘‘এই ম্যাচের পরে ভারত প্রচুর আত্মবিশ্বাস পাবে। ওদের বেশির ভাগ ক্রিকেটারেরাই চাপের মধ্যেও যেটা দরকার ছিল, সেটাই করে দেখিয়েছে। তা ছাড়া ওরা যে রকম পরিকল্পনা করেছিল, সেটা একেবারে খেটে গিয়েছে।’’
তবে অস্ট্রেলিয়া হারলেও এখনও তাঁদের বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে এবং তার জন্য খুব বেশি দলে পরিবর্তনেরও প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন স্টিভ। রান তাড়া করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া কেন হারল, তার ব্যাখ্যা দিয়ে স্টিভ বলেন, ‘অ্যারন ফিঞ্চের রান আউট হয়ে যাওয়াতেই প্রথম ধাক্কাটা আসে। ও আরও কিছুক্ষণ থাকলে রানটা বাড়ত। প্রথম ১৫ ওভারের মধ্যেই একটা বড় রান দরকার ছিল। সেটা হয়নি। ওয়ার্নার আর স্মিথকে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি। আর প্রথম ইনিংসে আমরা বলটাও খুব খারাপ করেছি। কোনও পরিকল্পনা না থাকায় ভারত এত রান তুলতে পেরেছে।’ তবে এই হারে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালে যাওয়া আটকাবে না বলেই মনে করছেন ওয়।