শনিবার সন্ধেয় আরামবাগের হরিণখোলায় একটি চা দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ মফিজুল। তখনই দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর হাতে–পায়ে এবং মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপে লাগে। ফলে অবিরত রক্তক্ষরণ হতে থাকে। কিছুক্ষণ পরেই চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নির্মম ভাবে প্রাণ হারানো এই নেতার পরিবারের পাশে দাঁড়াল তৃণমূল।
গতকাল সকালে আরামবাগ লোকসভার তৃণমূল আহ্বায়ক দিলীপ যাদব মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলেন তাঁর স্ত্রী রোকিয়া বেগম ও ছেলেমেয়েদের সঙ্গে। ভবিষ্যতে যে কোনও প্রয়োজনে তাঁদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
মফিজুলের বাড়ি হরিণখোলা–২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের আমগ্রামে। স্ত্রী ছাড়াও তাঁর দুই ছেলে ও দুই মেয়ে আছে। এই ঘটনায় তাঁর পরিবার একেবারের লোকজন শোকে ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মী থেকে সাধারণ মানুষও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এদিকে এই ঘটনায় শেখ মফিজুলের পরিবারের পক্ষ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে আরামবাগ থানার পুলিশ রাতেই একজনকে গ্রেফতার করেছে।
দিলীপবাবু বলেন, ‘আমরা সব সময়ই নিহত মফিজুলের পরিবারের পাশে থাকব। স্থানীয় নেতৃত্ব সব সময়ই বিষয়টি খোঁজ খবর রাখবে। যে কোনও প্রয়োজনে ওই পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে। বাকি বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’