১০ জুন সোমবার সকালেই কাঠুয়া কাণ্ডের রায় দিয়েছিল পাঠানকোটের বিশেষ আদালত। ৮ অভিযুক্তের মধ্যে ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। বিকেল গড়াতেই দোষীদের সাজা ঘোষণা করল পাঠানকোটের বিশেষ আদালত। ৩ দোষীর ৫ বছরের জেল এবং বাকি ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারপতি।
৬ জন দোষী সাব্যস্তের মধ্যে ৩জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল পাঠানকোটের বিশেষ আদালত। বাকি ৩ জনকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কাঠুয়ায় নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত পুলিস অফিসার দীপক খাজুরিয়া, পরবেশ কুমার এবং মন্দিরের পুরোহিত সঞ্জি রামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য সুরেন্দর ভার্মা, তিলক রাজ এবং আনন্দ দত্তকে ৫ বছরের কারাদণ্ড শোনায় আদালত।
গত বছরের ১০ জানুয়ারি অপহরণ করা হয় আসিফা নামে এক নাবালিকাকে। লালসা মেটাতে দিনের পর দিন চলে গণধর্ষণ। সেই দলে ছিল পুলিশ অফিসারেরাও। এমনকী মাথায় পাথর মেরে খুন করার আগের মুহূর্তে হত্যাকারীকে অপেক্ষা করতে বলে এক পুলিশ অফিসার। কারণ, আরও একবার ধর্ষণ করে নিতে চেয়েছিল সে। এমনকি উত্তরপ্রদেশের মীরট থেকে এক ব্যক্তি তার খিদে মেটাতে গিয়েছিল কাঠুয়াতে। ১৭ জানুয়ারি, ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয় জঙ্গলের ভিতর থেকে। স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। পুলিশের চার্জশিটের পর তিন মাস আগের জম্মুর হাড়হিম ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এখানেই শেষ নয় ফরেন্সিক রিপোর্টে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, ধর্ষণের আর খুনের আগে প্রচুর পরিমাণে মাদক দেওয়া হয়েছিল নাবালিকাকে। সেই সময় বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মেরে ফেলার আগেই হয়ত কোমায় চলে গিয়েছিল আট বছরের ওই নাবালিকা। চাপের মুখে তৎকালীন মুফতি সরকার বিশেষ আদালতে মামলার শুনানির করার নির্দেশ দেন। যত দ্রুত সম্ভবত মামলা যাতে নিষ্পত্তি হয় সে বিষয়েও নির্দেশ দেন তৎকালীন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো লাগাতার ১৭ মাস ধরে চলে মামলার শুনানি। শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণা করল।