ঘটনা গত বছরের অক্টোবর মাসের। কিন্তু সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। আর তাতেই নড়ে চড়ে বসেছেন ফরিদাবাদের পল্লবগড় আদর্শনগর থানার পুলিশ। ৪ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, গেরুয়া রঙের শাড়ি পড়ে এক মহিলাকে ঘিরে রয়েছেন তিনজন। তাদের মধ্যে একজন পুলিশ ইউনিফর্মে রয়েছেন। অন্য একজন অনবরত ফোন নম্বর চেয়ে চলেছেন, আরেকজন মহিলাকে ঘিরে বেল্ট হাতে নিয়ে বেধরক মেরে চলেছেন।
পার্কের মধ্যে এক পুলিশ কমিটি সপাটে মহিলাকে এক ঘা মারেন। চারপাশ থেকে বাকি পুলিশ কর্মীরাও পালা করে শুরু করলেন মার। মহিলার কাকুতি, মিনতি অগ্রাহ্য করে চারপাশ থেকে এলোপাথাড়ি উড়ে আসতে লাগল বেল্টের আঘাত। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
কোন মহিলা পুলিশ কর্মী ছাড়াই ওই মহিলাকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ ওঠে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। ঘটনার ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। তার পরেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ফরিদাবাদ পুলিশ। ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়েছে হরিয়ানা রাজ্য মহিলা কমিশকেও। হরিয়ানা পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল নভদীপ ভিরক এই ঘটনার কথা টুইট করে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “পাঁচ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করা হবে। আপাতত তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। নির্যাতিতা মহিলাকে খোঁজা হচ্ছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করে তদন্ত শুরু হবে। ফরিদাবাদ পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, “মহিলাকে হেনস্থা করার অভিযোগে হেড কনস্টেবল বলদেব এবং রোহিতকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বরখাস্ত করা হয়েছে তিন জন স্পেশাল পুলিশ অফিসার কৃষাণ, হারপাল এবং দীনেশকে”।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত পাঁচ জন পুলিশ কর্মীর মধ্যে ছিলেন দু’জন হেড কনস্টেবল এবং তিন জন স্পেশাল পুলিশ অফিসার। মহিলার অপরাধ কী ছিল সেটা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। এভাবে হেনস্থা করা হলো সে বিষয়ে পাঁচ জনকে জেরা করা চলছে।