শ্রম ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটকের দাদা অসীম ঘটকের স্ত্রী জয়শ্রী ঘটক ও তাঁর মেয়ে নিলম ঘটকের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হল আসানসোলের হিন্দুস্তান পার্কের বাড়ি থেকে। সোমবার বিকেল চারটের পরে আসানসোল দক্ষিণ থানার হিন্দুস্তান পার্কে বাড়ির দরজা ভেঙে জোড়া দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মানসিক অবসাদে দু’জন আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
বিগত কয়েকদিন জয়শ্রী ও নীলমকে তেমন দেখা যায়নি। বাড়ির দরজা-জানলাও বন্ধ ছিল। সোমবার ফের এজাজ সব্জি নিয়ে ওই বাড়িতে যান। দরজায় ধাক্কা দিলেও কেউ খোলেননি, কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তখন যুবক আশপাশের লোকেদের ডাকেন। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় কাউন্সিলর স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অসীম ঘটকের ভাই, আসানসোলের মেয়র পারিষদ অভিজিৎ ঘটককে খবর দেওয়া হয়। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে দুপুর তিনটের সময়। পুলিশ প্রথমে দরজার লোহার গ্রিল কাটে। পরে দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পুলিশ দেখে, ঘরের মধ্যে দু’দিকে দু’টি দেহ পড়ে আছে। জয়শ্রী ও নীলমের দেহে পচন ধরেছে, কালো হয়ে এসেছে। প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে ঘর থেকে।
২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মহালয়ার সকালে বার্নপুরের দামোদরে তর্পণ করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় মলয় ঘটকের দাদা অসীম ঘটকের। হিন্দুস্তান পার্কের বাড়িতে তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী ঘটক (৬০) ও কন্যা কস্তুরী ওরফে নীলম ঘটক (৩৯) থাকতেন। তাঁরা ক্রমশ মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বাড়ি থেকে বেশি বেরোতেন না। পাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে তেমন কথা বলতেন না। তাঁদের সঙ্গে মলয় ঘটকের পরিবারের বিশেষ যোগাযোগ ছিল না। মা ও মেয়ে অনেকটা নিজেদের মতো করে একা-একাই থাকতেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, দিন সাতেক আগে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন দু’জন। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর দু’টি মামলা রুজু করেছে। অভিজিৎ ঘটক বলেন, “দাদা মারা যাওয়ার পর মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বৌদি, ভাইঝি। আমরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করতাম। কিন্তু, তাঁরা খুব একটা মিশতে চাইতেন না”।