সামগ্রিক উন্নয়নে আধুনিকতার ছোঁয়া সুন্দরবনকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে সামনের দিকে। এসব কিছুই হয়েছে পরিবর্তনের সরকার আসার পর, এক কথায় স্বীকার করেন সুন্দরবনের মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে বারে সুন্দরবনে এসেছেন। করেছেন নানা পরিকল্পনা–প্রকল্প। সুন্দরবনের এই দ্রুত উন্নয়নকেই হাতিয়ার করে এবার সুন্দরবন–বেষ্টিত জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে জোরদার প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল। গত বারের লোকসভা নির্বাচনে তিনি এই আসন থেকেই জয়ী হয়েছেন। এবারও তিনি প্রার্থী।
মমতার হাত ধরেই বদলে গেছে সুন্দরবন। সেই সুন্দরবন এখন আর নেই। পাল্টে গেছে। বিদ্যুৎহীন গ্রাম, কাঁচা রাস্তা, পানীয় জলের আকাল, ফি–বছর বর্ষায় নদীবাঁধ ভাঙার আতঙ্ক— এসব থেকে অনেকটাই রেহাই পেয়েছেন সুন্দরবনবাসী। এখানকার নতুন প্রজন্মের কাছে ওই দিনগুলি যেন গল্পের মতো। গত কয়েক বছরে যেন সুন্দরবনের ভোল পাল্টে গেছে। ব–দ্বীপের প্রত্যন্ত গ্রামেও এখন কংক্রিটের রাস্তা, অন্ধকারে ডুবে–থাকা গ্রামগুলি এখন আলো–ঝলমলে, গ্রামে গ্রামে পানীয় জলের কল, সারা বছর ধরেই চলছে নদী বাঁধ মেরামতি। তৈরি হয়েছে বিদ্যুতের সাব–স্টেশন। পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে কয়েক গুণ। গড়া হয়েছে ইকো–ট্যুরিজম। এত কিছু দিয়ে সুন্দরবনকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলেছেন মমতা। ভোটবাক্সে এর প্রতিদান যে দেবেন তা জানাচ্ছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
এলাকার মানুষও ভীষণ খুশি যেভাবে মমতা উন্নয়নের আলোয় আলোকিত করেছেন সুন্দরবনকে। সুন্দরবন এলাকার জীবনতলার বাসিন্দা আখতার আলি জানালেন, ‘বিরোধীদের অস্তিত্ব নেই এখানে। প্রচারও দেখা যায়নি। বেশির ভাগ ভোটই শাসক দলের ঝুলিতে যাবে।’ এই বিধানসভার ভোট এই কেন্দ্রে নির্ণায়কের ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই সব মিলে এবারও সুন্দরবনের জয়নগর কেন্দ্রে এবারও পাল্লা ভারী তৃণমূলেরই।
জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে গোসাবা, বাসন্তী, ক্যানিং পশ্চিম, ক্যানিং পূর্ব, জয়নগর, কুলতলি ও মগরাহাট পূর্ব— এই ৭টি বিধানসভা রয়েছে। কুলতলি বাদে সব ক’টি বিধানসভাতেই এখন ক্ষমতায় তৃণমূল। তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল বলছিলেন, ‘এখন আর মানুষের কাছে আমি নতুন প্রার্থী নই। গত পাঁচ বছর তাঁদের পাশে ছিলাম। এই কেন্দ্রে তফসিলি জাতি–উপজাতির লোকজনের বাস বেশি। বেশির ভাগ গরিব মানুষ। গত পাঁচ বছরে সাংসদ কোটার ৫ কোটি টাকা দিয়ে এলাকার মানুষের জন্য নিঃশব্দে কাজ করেছি। এমনকী আগের সাংসদের আমলে পড়ে–থাকা অব্যবহৃত টাকা বের করে এনে তা এলাকার উন্নয়নের কাজে খরচ করেছি। সুন্দরবন পাল্টে গেছে। মানুষ আমাকে চিনেছেন। তাই দলনেত্রী আবার প্রার্থী করেছেন। আশা রাখছি, মানুষ আবার আশীর্বাদ করবেন। জেতার বিষয়ে একশো ভাগেরও বেশি নিশ্চিত।’