ফের কার্ফু জারি হল জম্মু-কাশ্মীরের ভাদেরওয়াহে। বুধবার রাতে ভাদেরওয়াহের মহল্লা কিল্লার বাসিন্দা নইম খানকে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তি গুলি করে মারে। বছর চল্লিশের এই গ্রামবাসীর খুনকে কেন্দ্র করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু জারি হয়েছে। নইমের বাড়ির লোকের দাবি, স্বঘোষিত গোরক্ষকদের হাতে খুন হয়েছেন তিনি। বিজেপি দিন দিন হিংসা ছড়াচ্ছে। উগ্র জাতীয়তাবাদের নামে মানুষ মারছে। এই ঘটনা মানুষ মেনে নেবে না। নইমের বাড়ির লোক ভাদেরওয়াহ থানায় বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। প্রায় ছ’টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি গাড়ি। লাঠি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। গুজব ছড়ানো আটকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইলের ইন্টারনেট পরিষেবা।
খবর ছড়িয়েছিল, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। কিন্তু ডেপুটি কমিশনারের দাবি, পাথর ছোড়ার ছোটখাটো ঘটনা ছাড়া আর কিছুই ঘটেনি। তাঁর কথায়, “দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই সত্য সামনে আসবে”। খুনের ঘটনায় এখনও অবধি সাত জনকে আটক করা হয়েছে। জম্মুর আইজিপি এম কে সিনহা বলেন, “ছাতেরগালা থেকে আসছিলেন নইম। নালতির কাছে পৌঁছতেই অজ্ঞাতপরিচয় কিছু লোক ওঁকে খুন করে। অন্য এক জন স্প্লিন্টারের ঘায়ে আহত হয়েছেন”। এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ার পরই জম্মু-কাশ্মীরজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়।
ডোডার ডেপুটি কমিশনার ডি এস দত্তাত্রেয় জানান, ভাদেরওয়াহ জুড়ে কার্ফু জারি হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন হয়েছে আধা সামরিক বাহিনী। এই ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের উগ্র জাতীয়তাবাদ প্রকাশ পাচ্ছে। গোরক্ষার নামে মানুষ বলি হিংসারই নামান্তর। নইমের পরিবারের দাবি, গোরক্ষকদের রোষের বলি তিনি। ডেপুটি কমিশনার দত্তাত্রেয় অবশ্য বলেন, “বিষয়টা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে”।