নোডাল অফিসার অর্ণব রায়ের খোঁজ মিললেও কাটছে না ধোঁয়াশা। প্রথমে জানা গেছিল, বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারপর তাঁকে ব্যাতাইতলায় তাঁর শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার খবর জানা যায়। এরপর বেলা বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে নানান কথা উঠে আসতে থাকে। পুলিশের একটি সূত্রের মতে, গত তিনদিন ধরে শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন অর্ণব। এইসব নিয়েই ধন্দে রয়েছে পুলিশ। রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে উদ্ধার করে অর্ণবকে।
দ্বিতীয় দফা ভোটের দিন অর্থাৎ ১৮ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলেন কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের ভিভিপ্যাটের দায়িত্বে থাকা এই অফিসার। অর্ণবের নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে যত সময় গড়িয়েছে, ততই নানান কথা উঠে আসতে থাকে নানান মহল থেকে। কেউ বলছিলেন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে, কেউ আবার বলেছিলেন অর্ণব মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কিন্তু অর্ণবের স্ত্রী অনিশা যশ ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট এবং সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী মানসিক অবসাদগ্রস্থ ছিলেন না।
অর্ণবের শ্বশুর আবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পুলিশ আধিকারিক নির্মল যশ। শ্বশুর বাড়ি থেকে আট দিন নিখোঁজ থাকা নোডাল অফিসারকে ভবানী ভবন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন গোয়েন্দারা। এ ব্যাপারে অর্ণব বা তাঁর শ্বশুর, কেউই সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেননি। বেলা সওয়া একটা পর্যন্ত খবর, অর্ণবকে ভবানী ভবনের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিখোঁজ হওয়ার দিন স্ত্রীর সঙ্গে ছ’বার ফোনে কথা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর হাওড়ায় অর্ণবের শ্বশুর বাড়ি। আপাতত সেখানেই রাখা হয়েছে তাঁকে। অর্ণবের অন্তর্ধান নিয়ে অনেকেই আইন-শৃঙ্খলার ব্যাপারে প্রশ্নই তুলেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল এই যে, ডিসিআরসি কেন্দ্র থেকে কী করে একজন ডব্লিউবিসিএস অফিসার নিখোঁজ হয়ে গেলেন।