গতকাল তৃণমূলের একঝাঁক নেতামন্ত্রী একযোগে অযোধ্যা পাহাড়ের গ্রামে গ্রামে প্রচারে ঝড় তোলেন। ২০ দিনের মধ্যেই ফের পাহাড়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার চালালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ভোট প্রচারের পাশাপাশি অযোধ্যা পাহাড়ের বাসিন্দাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। পাহাড়ের আদিবাসীদের তাঁদের ভাষাতেই বুঝিয়ে ভোট প্রচার করেন রাজ্যের আর একমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু। ২৮ মার্চ বাঘমুণ্ডির অযোধ্যা পাহাড়ে থেকে টানা দু’দিন ধরে প্রচার করেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও বিধায়ক স্মিতা বক্সি। পাহাড়ের একাধিক গ্রামে ঘুরে কখনও গাছ তলায়, কোথাও খাটিয়ায় বসে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচার সারেন মন্ত্রী। সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধার খোঁজও তিনি নেন। বুধবার ফের পুরুলিয়ায় আসেন চন্দ্রিমাদেবী। কপ্টারে করে তিনি এদিন সকালে ছররায় এসে পৌঁছন। সেখান থেকেই চন্দ্রিমাদেবীর সঙ্গে প্রচারে যোগ দেন অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীব লোচন সোরেন, জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি সুশান্ত মাহাত প্রমুখ।
সন্ধ্যারানি টুডু সাঁওতালি ভাষায় বলেন, “গোটা পাহাড়ের উন্নয়নের কাজ, আদিবাসী তথা সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের সুবিধা অসুবিধার খোঁজ রাখে তৃণমূল কংগ্রেস। অযোধ্যা পাহাড়ের নতুন রূপ এবং পর্যটনকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তৃণমূলের আমলেই”। এদিন, ভোটপ্রচার করে কপ্টারে ফিরে যান। যাবার আগে চন্দ্রিমাদেবী বলেন, “শুধু ভোট চাওয়ার হলে একবার এসে প্রার্থীর হয়ে প্রচার করে ফিরে যেতাম। কিন্তু, তৃণমূল যে পাহাড়বাসীর পাশে রয়েছে, সেই বার্তা দিতে এসেছি”।
এদিন চন্দ্রিমাদেবী প্রথমেই পৌঁছন ভুঁইঘরা গ্রামে। সেখানের বাসিন্দারা আদিবাসী ঐতিহ্য মেনে ধামসা মাদল বাজিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। গ্রামের রাস্তার পাশে ছাতিম গাছের তলায় খাটিয়ায় বসে তিনি বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ারও আর্জি জানান। সেখানকার বাসিন্দা বৃদ্ধ গোবিন্দ বেসরা মন্ত্রীকে গ্রামের জলসেচের সমস্যা এবং পানীয় জলের সমস্যার কথা বলেন। সেই সমস্যার কথা শোনেন তিনি। এবং তার সমাধান হবে খুব শিগগিরি সে কথাও বলেন। এখানেই চন্দ্রিমাদেবী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবার ফের ফিরে এসেছি। শুধু ভোট প্রচার নয়, তৃনমূল অযোধ্যা পাহাড়ের বাসিন্দাদের তথা আদিবাসীদের পাশে রয়েছি”।




