মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মেয়েদের জন্যে এনেছিলেন এক যুগান্তকারী প্রকল্প কন্যাশ্রী। নাবালিকা মেয়েরা যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে হয়ে উঠতে পারে স্বাবলম্বী তাই তাঁদের এককালীন ২৫০০০ টাকা দেওয়া হত এই প্রকল্পে। বহু মেয়ে উপকৃত হয়েছিলেন এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হয়ে। তাঁদের জীবনে মমতার এই অবদানকে সম্মান জানাতে ভোটের সময় এগিয়ে এলেন কন্যাশ্রীরা। মমতার সমর্থনে দেওয়াল লিখছেন তাঁরা।
রায়গঞ্জ কেন্দ্রে ভোটের প্রচারে এই নতুন চমক নিয়ে হাজির তৃণমূল। শুক্রবারই করণদিঘিতে দেখা গেল, তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সমর্থনে দেওয়াল লিখছে কন্যাশ্রীর মেয়েরা। করণদিঘির যুব তৃণমূলের উদ্যোগে তারা দেওয়ালে এঁকেছে ঘাসফুল। ছড়ার মাধ্যমে বুঝিয়েছে, কন্যাশ্রী প্রকল্পের কতটা সুবিধা পেয়েছে তারা। আর শেষে এক কোনায় লেখা —সৌজন্য কন্যাশ্রী
তৃণমূলের এবারের নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম সেরা আকর্ষণ হল কন্যাশ্রী মেয়েদের এই দেওয়াল লিখন। শুক্রবার দেওয়াল লিখতে ব্যস্ত ছিলেন ডালখোলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী লায়লি খাতুন, আয়েশা খাতুনেরা। জানালেন, দেওয়াল লেখার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। অন্য রকম অনুভুতি হচ্ছে। আর এক ছাত্রী আফসানার কথায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা উপকৃত হয়েছি। তা তুলে ধরতে পারছি লিখনের মাধ্যমে।
দলের তরফে জানানো হয়েছে, “রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের কথা জানে গোটা বিশ্ব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বিভিন্ন সভায় এই প্রকল্পের মেয়েদের প্রশংসা করেছেন। ভোটের প্রচারে এই প্রকল্প যেমন তুলে ধরা হচ্ছে, তেমনি যারা উপকৃত হয়েছে, তারা দেওয়ালে প্রকল্পের বিষয়ে লিখছে তারা। প্রশাসন সুত্রের খবর, অষ্টম শ্রেণি থেকে এই প্রকল্পে বছরে এক হাজার টাকা করে পায় ছাত্রীরা। ১৮ বছর পূর্ণ হলে এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও মেলে সুযোগ। করণদিঘির যুব তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ আজাদ বলেন, ‘‘প্রচারে বৈচিত্র্য আনতেই এই ভাবনা। তা ছাড়া, ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরা এই কাজে এগিয়ে এলে ভাল হয়।’’