
‘আচার কা লঙ্কা হ্যায়, দার্জিলিং মে বহত বড়িয়া মিলতা হ্যায়।’ খরিদ্দারের কথায় চমকে উঠেছেন বিক্রেতা। কারণ, খরিদ্দার যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।
চেতলা বাজারে তখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সবজি বিক্রেতা তখন কোথায় মুখ্যমন্ত্রীকে বসাবেন তা ঠিক করতে ব্যস্ত। মমতা অবশ্য দোকানির ব্যতিব্যস্ততাকে পাত্তাও দিলেন না। একমনে টিপে টিপে বেগুন, ঝিঙে, কুঁদরি, আমলকি, কর্ন কিনে দাম মিটিয়ে দিলেন। দোকানি দাম নেবে না। এক ধমক দিলেন মমত, ‘দাম নেবেন না কেন? আপনারা কষ্ট করে ফসল ফলান। তার দাম তো নিতেই হবে’। এরপর আর দাম না নিয়ে পারা যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বকুনি খেয়ে অনিচ্ছাস্বত্বেও দাম নিতে বাধ্য হলেন সবজি বিক্রেতা।
বুধবার কালীঘাটের বাড়িতে দলীয় ইস্তেহার প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা শেষ হতেই চলে যান এসএসসি প্রার্থীদের অনশন মঞ্চে। তার পর সেখান থেকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কালীঘাটেই ফিরছিলেন দিদি। ফেরার পথে এ কথা সে কথায়, মেয়রকে বলেন, ‘চল তো ববি চেতলা বাজারে যাব।’ দেখা যায়, বাজারে মেনকা সুইটসের ঠিক উল্টো দিকে একটা আনাজের দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ান মমতা। তার পর শাক সবজি কিনতে শুরু করে দেন তিনি।
মমতার ঘনিষ্ঠমহল অবশ্য বলছে, এমন টুকটাক কেনাকাটা মমতা করেই থাকেন। এদিন মিডিয়া ছিল বলে মুখ্যমন্ত্রীর বাজার করা চাক্ষুস করল রাজ্যবাসী। রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই। এমন ‘ডাউন টু আর্থ’ জীবনযাপন দেশের আর কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নেই। এখানেই মমতা সবার থেকে আলাদা। এটাই মমতার ইউএসপি।




