জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোট ঘোষণার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল। আর এবার নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামীকাল, বুধবার কালীঘাটের দলীয় কার্য্যালয় থেকে সেই ইস্তেহার প্রকাশ করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইস্তেহার প্রকাশের সময় উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতানেত্রীরা এবং কর্মীরা।
সূত্রের খবর, এবারের নির্বাচনী ইস্তেহারে নতুন ভারত গড়ার ডাক দেওয়া হবে। বিজেপির শাসনকালে দেশের দুরবস্থার কথা তুলে ধরা হবে। অন্যদিকে, গত পাঁচ বছরে তৃণমূল রাজ্যে কী কী উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করেছে সেকথারও উল্লেখ থাকবে ইস্তেহারে। জানা গেছে, প্রথম পর্বে থাকছে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বিগত ৮ বছরে প্রশাসক মমতা কীভাবে জনহিতকর কাজ করেছেন, কোন কোন প্রকল্পে রাজ্যের মানুষের উন্নয়ন হয়েছে তার খতিয়ান। পাশাপাশি কৃষি, শিল্প, পরিকাঠামো-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কী ভাবে বাংলা এগিয়েছে, সেই তথ্যও থাকছে তৃণমূলের ইস্তেহারে।
আর দ্বিতীয় পর্বে থাকছে জাতীয় রাজনীতির বিষয়। সেখানে থাকছে, কেন দেশে পরিবর্তন চাই। মোদীর আমলে দেশে কোন কোন ক্ষেত্রে অবনমন ঘটেছে। গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষায় তৃণমূলের কী ভূমিকা হবে, থাকবে তারও বিস্তারিত ব্যাখ্যা।
অন্যদিকে পরিবর্তন হলে আর সেই সরকারে তৃণমূল থাকলে দেশের মানুষের জন্য কী কী করা হবে তার খতিয়ানও থাকবে ইস্তেহারে। সূত্রের খবর, গত সাত-আট বছরে বাংলার সফল প্রকল্পগুলিকে জাতীয় স্তরে সফলভাবে কীভাবে রূপায়ণ করা হবে, সেগুলিও থাকছে তৃণমূলের ইস্তেহারে।
যেহেতু এবার লড়াই জাতীয় স্তরে, প্রচারে দলীয় নেতৃত্ব যাবেন রাজ্যের বাইরে, আর এই পর্বে দলীয় ইস্তেহার প্রধান অস্ত্র, সে কারণে ইস্তেহারও থাকছে নানা ভাষায়। বাংলা, হিন্দী, ইংরেজির সঙ্গেই সাঁওতালি, অসমীয়া, উর্দু, গোর্খালির মতো একাধিক ভাষায় ছাপানো হচ্ছে ইস্তেহার। এই ইস্তেহার প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যজুড়ে লোকসভা ভোটে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামবেন মমতা। উল্লেখ্য, আগেই জানা গেছিল যে, নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ ও প্রচার কর্মসূচী চূড়ান্ত হলেই রাজ্য জুড়ে দেড়মাসব্যাপী প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন দলনেত্রী। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।