বিমানবন্দরে সোনাকাণ্ডে স্ত্রীকে জড়িয়ে অহেতুক হেনস্থা করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ছড়ানো হয়েছে ভুয়ো খবর। এমনটাই জানাল নির্বাচন কমিশন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাথমিকভাবে ক্লিনচিট দিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এক রিপোর্টে জানিয়েছেন, সিজার লিস্টে সোনা আটকের কোনও তথ্য নেই।
সম্প্রতি বিমানবন্দরে সোনা-সহ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে বলে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিজেপি নেতা-নেত্রীরা এই বিষয় টুইট করে তাতে ইন্ধন যোগান। কিছু সংবাদমাধ্যমও এটাকে খবর হিসাবে প্রকাশ করে। এর পরেই সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন অভিষেক সাফ জানান, ২ গ্রাম সোনা এনেছে প্রমান করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সিইও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট তলব করেন। শুরু হয় তদন্ত। তারপর আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিইও-র কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। সেখানে বিমানবন্দরে সোনা আটকের বিষয়ে কোনও তথ্য নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেশকদের মতে, ভোটের মুখে তৃণমূলকে চাপে রাখতেই এমন মিথ্যা প্রচার করেছিল বিজেপি। কিন্তু কমিশনের রিপোর্টে আসল সত্য সামনে এল। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে মিলে তৃণমূল সাংসদের নামে কুরুচিকর টুইটও করেছিলেন সুজন চক্রবর্তীও। এরপর সুজনকেও আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন অভিষেক। কমিশনের এই রিপোর্টে মুখ পুড়ল সুজনেরও।
তৃণমূল কর্মীদের দাবি, এমন ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য সুজন চক্রবর্তী, বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো বাম-বিজেপি নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক নির্বাচন কমিশন।