গতকাল ছাতনার বাসলি মন্দিরে পুজো দিয়ে মন্দির সংলগ্ন অডিটোরিয়ামে একটি কর্মীসভা করেন বাঁকুড়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি জানালেন, আসন্ন লোকসভা ভোটে গোটা দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে চাইছে।
সুব্রত বলেন, ‘বিজেপি বাংলার মানুষের মধ্যে বিষবৃক্ষ পুঁতে দিতে চাইছে। আমরা কোনওদিন মানুষে মানুষে ভেদ করিনি। কিন্তু ওরা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদের বাতাবরণ সৃষ্টি করে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে গন্ডগোল বাধিয়ে দিয়ে, রাজ্যে ক্ষমতা দখল করার চেষ্টা করে। আমরা কখনও তাদের সেই অপচেষ্টাকে সফল হতে দেব না।’
সুব্রত আরও জানান, “২০১১ সালে যখন আমরা রাজ্যের ক্ষমতায় আসি, তখন এই জেলায় পানীয় জলের কী সঙ্কট ছিল, আপনারা জানেন। গ্রীষ্মের দিনগুলিতে মানুষ জল খেতে পেতেন না। ভয়ানক কষ্টের মধ্যে দিন কাটত এই জেলার মানুষের। সামান্য জলের জন্য গ্রামান্তরে ছুটে যেতে হত মা, বোনদের। ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সুব্রতদা যে ভাবেই হোক বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার মানুষকে জলকষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। আমরা অনেক চিন্তাভাবনা করে বিভিন্ন ভাবে টাকা সংগ্রহ করে প্রায় ১১০০ কোটি টাকায় প্রথম পর্যায়ে এবং ১ হাজার ৭৮ কোটি টাকায় দ্বিতীয় পর্যায়ে পানীয় জল সরবরাহের জন্য কাজ শুরু করেছি। আর কিছুদিন পরেই ওই কাজ শেষ হয়ে গেলে কলকাতার মানুষের মতো এই জেলার মানুষও বাড়িতে বসে বিশুদ্ধ পানীয় জল পাবেন।”
সভামঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, “অনেকগুলি ক্ষেত্রে সারা দেশের মধ্যে প্রথম হয়ে আমরা দিল্লি থেকে পুরস্কার নিয়ে এসেছি। দিল্লিতে বিজেপি নেতারা আমাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়, আর রাজ্যের নেতারা আমাদের গালি দেয়, এই হল বিজেপির চরিত্র। বিজেপি সরকার ওদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির একটিও পালন করতে পারেনি। তাই এবারের নির্বাচনে মোদী সরকারের পতন অনিবার্য।“
ছাতনার পর শালতোড়ায় কর্মীসভা করেন সুব্রত। দুটি ক্ষেত্রেই জড়ো হয়েছিলেন প্রচুর কর্মী এবং সমর্থক। ছাতনায় কর্মীসভায় তিনি বলেন, ‘মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য দেশজুড়ে দাবি উঠেছে। আমরা সেই দাবিটিকে শক্তিশালী করতে পারি, যদি মমতা যে ডাক দিয়েছেন এবারের নির্বাচনে ৪২–এ ৪২, সেটা করে দেখাতে পারি। তাই দলের সর্বস্তরের কর্মীকে কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়াই করতে হবে, যাতে ছাতনা বিধানসভা ক্ষেত্র থেকে দল অন্তত ২০ হাজার ভোটে এগিয়ে থাকতে পারে।’