‘এই রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দেন। সে যে-ই প্রার্থী হোন না কেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আর প্রতীক দেখেই ভোট দেবেন মানুষ।’ ভোটযুদ্ধে নেমেই এ কথা সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার লোকসভা কেন্দ্রগুলির তৃণমূল প্রার্থীদের নিয়ে বিষ্ণুপুরের আমতলায় এক বৈঠকে বসেন অভিষেক। তিনি ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মিমি চক্রবর্তী, চৌধুরীমোহন জাটুয়া-সহ জেলার মোট ৪ লোকসভার প্রার্থীরা। গতকাল প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারের কৌশল ও পরামর্শ দেন অভিষেক ব্যানার্জি ও জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী।
বৈঠকে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বলেন, ‘এই রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দেন। সে যে-ই প্রার্থী হোন না কেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আর প্রতীক দেখেই ভোট দেবেন মানুষ। সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরা টিকিটের লোভে বিজেপিতে চলে গেছেন। যে যাওয়ার যাবে। যে থাকার থাকবে।’
এরপরই অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, ‘অর্জুন সিংয়ের ক্ষমতা থাকলে ভাটপাড়া পুরসভায় পদত্যাগ করে ভোট করিয়ে দেখাক। ২০১৪ সালে ভাটপাড়ায় ৫ হাজার ভোটে পিছিয়েও দীনেশ ত্রিবেদী জিতেছিলেন। এবারও দীনেশবাবুর ওপর দলনেত্রী আস্থা রেখেছেন। তিনি জিতবেনই।’
অন্যদিকে, বিজেপি বাংলার সব বুথকে অতিস্পর্শকাতর দাবি করায় অভিষেক বলেন, ‘বিজেপি হারার আগেই অজুহাত দিচ্ছে। ভয় পেয়ে গেছে। ওরা কেন্দ্রীয় বাহিনী, অবজার্ভার, ইলেকশন কমিশন— যত কিছু দিয়ে ভোট করাক, কোনও সুবিধা হবে না। আমরাই জিতব। মহেশতলা উপনির্বাচনে তো ভোট করাল, কী হল ফলাফল? আমাদের একটাই মুখ— তা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বিজেপির জেতার কোনও প্রশ্নই নেই। তৃণমূল এবার ৪২-এ ৪২টি আসনেই জিতবে।’