নাম ঘোষণা হতেই প্রচারে নেমে পড়েছিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। রাজনীতিতে সদ্য এলেও তিনি জানিয়েছিলেন মানুষের জন্যে কাজ করতে চান। বাংলার সাধারণ মানুষের জন্যে যেভাবে নিজেকে উৎসর্গীকৃত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মিমিও একই ভাবে তাঁদের পাশে থাকতে চান। মিমি বলেছেন, “আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক”।
রাজনীতির কেরিয়ারের প্রথম কর্মীসভায় বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মিমি। গতকাল বিকেলে বিষ্ণুপুরের আমতলায় দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক হয়। সেখানেই মিমি বলেন, “মানুষের পাশে দাঁড়ানো আর মানুষের জন্যে কাজ- এটাই আমার সংকল্প। কীভাবে করব, কী বলতে হবে, গাইড করছেন দলের অভিজ্ঞ নেতারা। দিদি পাশে আছেন। আমাকে গাইড করার জন্য কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন তাই আলাদা মানসিক প্রস্তুতির দরকার নেই”। আত্মবিশ্বাস ঝড়ে পড়ছিল তার গলায়।
এই সভায় উপস্থিত ছিলেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি এবং ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জেলার অন্যান্য প্রার্থীরা। প্রচারের কৌশল নিয়েই আলোচনা হয় এই সভায়। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই তাঁকে ও মিমি চক্রবর্তীকে অশ্লীল আক্রমণ করেছে অনেকেই। একের পর এক মিম উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, বিরোধীরাই এর জন্যে দায়ী। এই নিয়ে মিমি তাঁদের উদ্দেশ্যে বললেন, “মহিলাদের সম্মান করতে শিখুন”। এই নিয়ে নুসরতও জানিয়েছেন, “যাঁরা এই ধরনের মিম বানাচ্ছে, তাঁদের জীবনে শিক্ষা ও সংস্কৃতির অভাব আছে। নিজেদের বাড়ির মহিলাদের যখন এভাবে কুৎসিত আক্রমণ তাঁরা করেন না, তখন এভাবে একজন মহিলা প্রার্থীকে আক্রমণের কী মানে? আসলে, এরা ভদ্রতা, সভ্যতার সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছেন।’