বাংলার মতো ৭ দফায় ভোট গ্রহণ পর্ব চলবে বিহারেও। সে রাজ্যে ৪০টি আসনের মধ্যে জোটসঙ্গী জেডিইউ এবং বিজেপি উভয় দলই ১৭টি করে আসনে লড়ছে। লোক জনশক্তি পার্টিকে দেওয়া হয়েছে ৬টি আসন। কিন্তু প্রচার থেকে শুরু করে নির্বাচনী সভা, প্রথম থেকেই নিজেদের আলাদা পরিচয় ধরে রাখতে চাইছে জেডিইউ। তাই নরেন্দ্র মোদী নন, বিহারে জেডিইউ-এর প্রচারের মুখ নীতিশ কুমারই। তাঁকে সামনে রেখেই লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নামল দল। আজ দেখা গেল, পাটনা শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো দলের ব্যানারে শুধুই নীতিশের ছবি। সঙ্গে স্লোগান, ‘সচ্চা হ্যায়, অচ্ছা হ্যায়’। তার নিচেই রয়েছে, ‘চলো, নীতীশকে সাথ চলে।’ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিজেপির কোনও নেতার ছবি বা নামই নেই সেই প্রচারে।
বিজেপি যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। তবে রাজ্যে মোদী-অমিত শাহের ছবি ছাড়া প্রচারকে মোটেই ভাল ভাবে নিচ্ছেন না তাঁরা। ২০১৫ সালে আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে মহাজোট তৈরি করে নির্বাচনে নেমেছিলেন নীতীশ। সেই নির্বাচনেও নীতীশ কুমারকে মধ্যমণি করেই প্রচার করেছিলেন নির্বাচন পরিকল্পনাকারী প্রশান্ত কিশোর। স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক মহলের অনুমান, ২০১৯ সালের এই প্রচারের পরিকল্পনা করেছেন সেই প্রশান্তই। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউ-এর স্লোগান ছিল, ‘বিহার মে বাহার হ্যায়, নীতীশ কুমার হ্যায়।’
জেডিইউ নেতা আরসিপি সিংহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই ব্যানারে কোনও ‘ভুল’ দেখছেন না তিনি। তাঁর কথায়, ‘এই স্লোগান শুধু জেডিইউ-এর নয়, এটা গোটা বিহারেরই স্লোগান।’ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে ঘটা করে ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগানে প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। পাটনায় বিজেপি নেতা তথা উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী এবং রাজ্য সভাপতি নিত্যানন্দ রায় সেই প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছেন। যদিও সেখানে জেডিইউ নেতাদের দেখা মেলেনি।