যাবতীয় জল্পনাকে সত্যি করে আবারও জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে আড়াল করে কার্যত পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল চিন। বুধবার চিনের ভেটোতেই আটকে গেল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মাসুদকে ‘গ্লোবাল টেররিস্ট’ ঘোষণার কাজ। মাসুদকে ‘গ্লোবাল টেররিস্ট’ ঘোষণায় ‘টেকনিক্যাল সমস্যা’ রয়েছে, এই যুক্তি দেখিয়েই বেঁকে বসল তারা। যার ফলে আবারও দেশের বাজারে ফের চিনা পণ্য বয়কটের দাবি উঠল নেট দুনিয়ায়৷ ইতিমধ্যেই হ্যাশট্যাগ বয়কট চাইনিজ প্রোডাক্ট ট্রেন্ড শুরু হয়েছে টুইটারে৷
প্রসঙ্গত, পুলওয়ামার ঘটনার মূল চক্রী ছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গী মাসুদ আজহারই। তাই ফের তাঁকে গ্লোবাল টেররিস্ট তকমা দেওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয়, চিনের প্রতি তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দেশের একটা বড় অংশের জনমানসে৷ সেই ক্ষোভ তারা উগড়ে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ সেইসঙ্গে গোটা দেশের কাছেই তাঁদের আর্জি, চিনের পণ্য বয়কট করা হোক৷ তবেই উচিত শিক্ষা পাবে তারা৷ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম তাদের রিপোর্টে সোশ্যাল মিডিয়ায় চিনা পণ্য বয়কট করা নিয়ে নানা টুইট তুলে ধরেছে৷
সেখানে দেখা যাচ্ছে, কমল কুমার নামে একজন লিখেছেন, ভারতীয়দের উচিত চিনকে এর জবাব দেওয়ার৷ চিনা পণ্য বয়কট করে দেশের প্রতি ভালোবাসা দেখান৷ এটা হবে দেশ ও শহীদ জওয়ানদের প্রতি সবার অবদান৷ আরও এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লেখেন, মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গী তকমার পথে বাধা তৈরি করেছে চিন৷ তাই সব ভারতীয়রই উচিত চিনা পণ্য বয়কট করে তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়া৷
আরেক ব্যক্তি আবার লেখেন, চিনের তৈরি স্মার্টফোন থেকে পেন সব বর্জন করা উচিত আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন সব ভারতীয়৷ কেউ কেউ এমন মন্তব্যও করেছেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর৷ আর চিন সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা৷ সব ভারতীয়র এখনই জেগে ওঠা উচিত এবং চিনা পণ্য বর্জন করা উচিত৷ উল্লেখ্য, এর আগেও দেশজুড়ে চিনা পণ্য পুরোপুরি বর্জনের দাবি উঠেছিল৷ উরি হামলার পর চিন যখন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তখনই দেশ জুড়ে চিনা পণ্য বয়কট করা শুরু হয়৷ এবং তার ফলে, ২০১৬ সালে দীপাবলীর আগে চিনা পণ্যের বিক্রির হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যায়৷