ফের রাত জাগতে চলেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। আজ থেকে শুরু হতে চলেছে ইউরো কাপ। শুক্রবার রাতে মিউনিখে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে জার্মানি এবং স্কটল্যান্ড। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করা জার্মানি এ বার ইউরো কাপের আয়োজক। প্রতিটি স্টেডিয়ামই পূর্ণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এবার ইউরোপের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আলাদা। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর প্রথম বার ইউরো হচ্ছে। জার্মানি ইউক্রেন দলকে ভাল ভাবেই স্বাগত জানিয়েছে। যুদ্ধের পর থেকে তারা জার্মানিতেই নিজেদের হোম ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু থাকছে না রাশিয়া। উয়েফা তাদের নির্বাসিত করেছে। পাশাপাশি, প্রথম বড় প্রতিযোগিতা খেলতে নামছে জর্জিয়া। সে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরোধী নতুন বিতর্কিত আইন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ না দিতে চাওয়া নিয়ে সে দেশের সরকারের বিরুদ্ধে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। জার্মানি নিজেও অভিবাসী সমস্যায় ভুগছে। বিভিন্ন দেশ থেকে নাগরিকেরা এসে জার্মানিতে আশ্রয় নিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, জার্মানিকে নোংরা করা ছাড়াও জার্মানদের অপমান করছেন। সে দেশেও সরকার বিরোধী একটা হাওয়া রয়েছে। ইজরায়েলের হামলা এবং গাজা নিয়ে এমনিতেই গোটা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পরিস্থিতি টালমাটাল। তার মধ্যেই ইউরো কাপের আয়োজন।
প্রতিযোগিতার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে ২০ হাজার পুলিশ। যে কোনও পরিস্থিতি সামাল দিতে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে সেনাবাহিনীকেও। গত বার রানার্স হওয়া ইংল্যান্ড এ বার ট্রফির দাবিদার হিসাবেই নামবে। তিন বছর আগে ইটালির বিরুদ্ধে অল্পের জন্য পেনাল্টি শুটআউটে হেরে গিয়েছিল ইংরেজরা। ১৯৬৬ সালের পর ফুটবলে প্রথম বার কোনও বড় ট্রফি জিততে মরিয়া তারা। কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের অধীনে ইংল্যান্ড দলের অনেকটাই উন্নতি হয়েছে তার পর থেকে। জুড বেলিংহ্যাম, ফিল ফডেন, বুকায়ো সাকারা তারকা হয়ে উঠেছেন। সঙ্গে হ্যারি কেন তো রয়েছেনই। গত বছর থেকে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলছেন হ্যারি কেন। ৪৭টি ম্যাচে ৪৪টি গোলও করেছেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্স হারলেও ইউরোতে নতুন উদ্যমে নামছে তারা। কিলিয়ান এমবাপে বিশ্বকাপ, নেশনস লিগ জিতলেও ইউরো কাপ জেতেননি। দলে অঁরেলিয়ে চুয়ামেনি, এডুয়ার্ডো কামাভিঙ্গার মতো তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলাররা রয়েছেন। সৌদি আরবে ক্লাবজীবন শুরু করার পর এই প্রথম বড় কোনও প্রতিযোগিতায় খেলতে নামছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ৩৯ বছর বয়সেও রয়েছেন দুরন্ত ছন্দে। পর্তুগালের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ১০টি গোল করেছেন। প্রস্তুতি ম্যাচেও গোল পেয়েছেন রোনাল্ডো। পর্তুগাল দলে রয়েছেন বের্নার্ডো সিলভা, ব্রুনো ফের্নান্দেসের মতো তারকারা।পাশাপাশি, ইউরোপ সেরার খেতাব ধরে রাখতে মরিয়া ইতালিও।