লোকসভা নির্বাচনে হারের পর থেকেই লাগাতার বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছিলেন তিনি। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে রোজই বিস্ফোরক মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছিলেন। যেমন বঙ্গ বিজেপির একাংশকে দুষে তিনি বলেছিলেন, ‘লোকে হারা আসন জেতার জন্য প্ল্যানিং করে। এখন জেতা আসন হারাবার জন্য প্ল্যানিং হয়েছে। মেদিনীপুরে লড়তে দেওয়া হয়নি, রেজাল্ট দেখা গিয়েছে।’ সেই দিলীপ ঘোষ নাকি আর সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলবেন না। তেমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শুক্রবার প্রাতঃভ্রমণে গিয়েই দিলীপ ঘোষ বলে দিয়েছেন, ‘সংবাদমাধ্যমকে আমি আর কিছু বলব না। যা বলার জনতাকে বলব।’ ভোটে হারের পর বিদ্রোহী হয়ে ওঠা দিলীপ অকস্মাৎ মুখে কুলুপ আঁটলেন কেন? প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে জল্পনাও। তাহলে কি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোনও বার্তা পেয়েছেন দিলীপ? তাঁকে কি ফের রাজ্য সভাপতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল? তার পরই বিদ্রোহে আপাতত ইতি টানার সিদ্ধান্ত?
প্রসঙ্গত, প্রশ্নাতীতভাবেই দিলীপ ঘোষ রাজ্য বিজেপির সফলতম সভাপতি। তাঁর সঙ্গে যোগ রয়েছে সংঘেরও। ফলে সুকান্ত সরলে তাঁর জায়গায় দিলীপকে সভাপতি করা হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। দিন দুই আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে যেভাবে সুকান্ত দিলীপের আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন, সেটাও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এরই মধ্যে দিলীপের মুখে কুলুপ আঁটা জল্পনা আরও বাড়াচ্ছে।