দু’বছর সাসপেন্ড থাকার পর গতবছর আইপিএলে ফিরেছে ধোনির সিএসকে। যে দলের সঙ্গে তিনি অভিষেক লগ্ন থেকে জড়িয়ে। ধোনি নিজে সিএসকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ও শাস্তি নিয়ে আগে কখনও মুখ খোলেননি। কী-ই বা বলবেন। সেই অভিশপ্ত দিনে বুকির সঙ্গে ধোনির স্ত্রীর গ্যালারিতে বসা ছবি বড় করে ছাপিয়ে অনেকে বোঝাতে চেয়েছিলেন, এঁরা সব জানতেন। যে দলের ক্যাপ্টেন ধোনি, তিনি অন্দরমহলের খবর জানবেন না, এমনটা হতে পারে? শ্রীনিবাসনের জামাই গুরুনাথ মায়াপ্পন যখন ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িয়ে পড়লেন, তখনও টার্গেট ধোনি। তাঁর সঙ্গে মায়াপ্পনের ছবি সামনে আসে। আসলে ওই সময় ব্যাপারটি এড়িয়ে যাওয়াও মুশকিল ছিল। ধোনি জানবেন কী করে যে শ্রীনিবাসনের জামাই মাঠের বাইরে এই সব কাজ করছেন! সেই দিনকে সামনে এনে সবকিছু মেলে ধরেছেন ধোনি। যা নিয়ে এতদিন মুখ খোলেননি, সেই প্রসঙ্গেই কথা বললেন এবার। গতবছর চেন্নাই সুপার কিংসের আইপিএল প্রত্যাবর্তন নিয়ে মুখ খুলে তিনি বলেছেন, ম্যাচ ফিক্সিং হল মানুষ খুনের থেকেও বড় অপরাধ! একে ক্ষমা করা উচিত নয়।
২০১৩-তে এই ফিক্সিং স্ক্যান্ডাল নিয়ে ঝড় ওঠার দু’বছর পর চেন্নাই সুপার কিংস এবং রাজস্থান রয়্যালসকে দু’বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। তারপর সেই অন্ধকার দিনকে দূরে ঠেলে চেন্নাই ফিরে আসে ২০১৭-তে একবছর পর, ২০১৮-তে চেন্নাই আইপিএল জেতার পর বলা হয়, তাহলে আগের সাফল্য ফ্লুক ছিল না। চেন্নাই সুপার কিংস খেললেও গুরুনাথ মাঠের বাইরে। একই অবস্থা রাজস্থান রয়্যালসের রাজ কুন্দ্রার। দু’জনেরই বিসিসিআই পরিচালিত কোনও ক্রিকেট ম্যাচে যুক্ত থাকার উপর আজীবন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। দু’বছর নির্বাসনে থাকা দলই আসন্ন আইপিএলের প্রথমদিন মুখোমুখি হবে।
হটস্টার-এ ২০ মার্চ ধোনিকে নিয়ে এই বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র দেখা যাবে। ‘রোর অফ দ্য লায়ন’ নামক তথ্য়চিত্রটির ৪৫ সেকেন্ডের ট্রেলারে ধোনিকে বলতে শোনা যায়, “দল জড়িয়ে পড়েছিল। আমার নামেও অভিযোগ ছিল। আমাদের জন্য এটা খুব কঠিন অধ্যায় ছিল। দলের নির্বাসনে সমর্থকরা ভেবেছিলেন খুব কঠিন শাস্তি হয়ে গেল। আবার মূল স্রোতে দলের ফিরে আসাটা ছিল খুব আবেগঘন ব্যাপার। আমি সবসময় বলে এসেছি, যা তোমাকে শেষ করতে পারে না, সেটাই বেশি শক্তিশালী করে তোলে।”