রবিবারই লোকসভা ভোটের নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি কমিশন এ-ও জানিয়ে দিয়েছে যে বাংলায় ৭ দফা লোকসভা ভোট গ্রহণের সঙ্গেই সমান্তরাল ভাবে হবে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এবং হাওড়া উলুবেড়িয়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। জানা গেছে, যে এলাকায় যেদিন লোকসভা ভোটগ্রহণ, সেদিনই সংশ্লিষ্ট বিধানসভার ভোটগ্রহণ হবে। সেই হিসেবে ২৯ এপ্রিল নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এবং ৬ মে হাওড়া উলুবেড়িয়া কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন হবে।
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক
ডঃ আরিজ আফতাব জানিয়েছেন, এবার লােকসভা নির্বাচনে
রাজ্যে মোট ভোটার ৬ কোটি ৯৭ লক্ষ ৬০ হাজার ৮৬৮ জন। বুথের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৯৯৯। ভােটকেন্দ্র ৫৩ হাজার ৭০১। প্রথম পর্যায়ে ভোট গ্রহণের গেজেট নোটিফিকেশন ১৮ মার্চ। সেদিনই মনোনয়ন জমা শুরু। শেষ ২৫ মার্চ। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ মার্চ। সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সঞ্জয় বসু, উপ-নির্বাচন আধিকারিক অমিতজ্যোতি ভট্টাচার্য। তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়টি দেখছেন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক অমিত রায়চৌধুরি।
সোমবার রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন রাজ্যের নির্বাচন আধিকারিক। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সুবিধের জন্য আমরা ‘সুবিধা’ নামে একটা অ্যাপ তৈরি করেছি। সবরকম অনুমতি এই অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনেই দেওয়া হবে। ১৯৫০ নম্বরে ফোন করলে ভোটাররা নির্বাচন সংক্রান্ত সব তথ্য জানতে পারবেন। পাশাপাশি করা হয়েছে ‘সি ভিজিল’ নামে একটি অ্যাপ। কোনও ঘটনা ঘটলে যে কেউ ছবি তুলে এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে পারবেন। ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রবিবার থেকেই নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হয়ে গেছে। মন্ত্রীরা নির্বাচনী প্রচারে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। সরকারি গাড়ি ব্যবহার করা যাবে শুধু অফিস থেকে বাড়ি যাতায়াতের সময়। জানা গেছে, ভোটের সময় রাজ্যে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। বুথে বুথে থাকবে সিসি টিভি, মাইক্রো অবজার্ভার-সহ অন্যান্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থায়। ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে একজন করে সাধারণ পর্যবেক্ষক, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক, পুলিশ পর্যবেক্ষক, অ্যাওয়ারনেস পর্যবেক্ষক থাকবেন। স্পর্শকাতর বুথগুলিতে থাকবেন পুলিশ পর্যবেক্ষকরা। ভোটারদের জন্য থাকবে হুইলচেয়ার, পানীয় জল-সহ সব রকমের ব্যবস্থা।