প্রায় এক দশক পরে রিয়াল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলছে রোনাল্ডোকে ছাড়া। পর্তুগিজ তারকা এখন তাঁর নতুন ক্লাব জুভেন্তাসের প্রধান ভরসা। আর পুরনো ক্লাব রিয়াল তলিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। নেদাল্যান্ডসে গিয়ে যে আয়খ্স আমস্টারডামকে ২-১ হারিয়ে এসেছিল রিয়াল, মঙ্গলবার তারাই রিয়ালের বিরুদ্ধে ৪ গোলে জয় পেল৷
সবাই ধরেই নিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবেই গত বারের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব রিয়াল। তা-ও নিজের মাঠ সান্তিয়াগো বের্নাবাউয়ে খেলা৷ কিন্তু আয়াখ্সের ৪ গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিল গত বারের চ্যাম্পিয়নই। দুই ম্যাচ মিলে গোল গড়ে ৫-২ জিতে ডাচ ক্লাবই পৌঁছে গেল শেষ আটে৷
এ হেন অবস্থাতেও সোলারি বলে দিয়েছেন যে, কোনও অবস্থাতেই তিনি হাল ছাড়তে রাজি নন। তিনি বলেছেন ‘‘ক্লাবের খারাপ সময় পালিয়ে যাওয়ার লোক আমি নই। আমাদের এখন মাথা ঠান্ডা রাখাই প্রধান কাজ। এখনই আমাদের বেশি করে চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখাতে হবে। রিয়াল মাদ্রিদ যে কোনও ব্যক্তির থেকে অনেক বড়। বারবার এই ক্লাব ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আরও শক্তিশালী হয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।’’
রিয়ালের হারের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তেরো বারের চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে আয়াখ্স যেটা করে দেখাল তারও প্রচুর প্রশংসা হচ্ছে। প্রথম লেগে ১-২ পিছিয়ে থেকেও বের্নাবাউয়ে তারা ১৮ মিনিটের মধ্যে ২-০ করে ফেলে। গোল করেন হাকিম সিয়েখ ও দাভিদ ন্যারিস। প্রথম দু’টি গোলের ক্ষেত্রেই বড় অবদান দুসান তাদিচের। এমনকি ৬২ মিনিটে তিনিই ৩-০ করেন।
৭০ মিনিটে মার্কো আসেনসিয়ো একটি গোল শোধ করলে রিয়ালের ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু স্পেনের ক্লাবের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেওয়ার কাজ করে যান আয়াখ্সের মিডফিল্ডার লাসা শোনে। খেলা শেষ হওয়ার ঠিক ২ মিনিট আগে অসাধারণ ফ্রি-কিকে ৪-১ করে দিয়ে। প্রায় এক দশক পরে আয়াখ্সকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এতটা ভাল জায়গায় নিয়ে যাওয়ার মূল কৃতিত্ব জিদান ভক্ত তাদিচেরই৷