লোকসভা ভোট প্রায় কড়া নাড়ছে দরজায়। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মী- সমর্থকদের স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন জিততেই হবে ৪২টি আসনেই। ইতিমধ্যেই ভোট প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। সেই প্রস্তুতিতে যেন কোথাও কোন ত্রুটি না থাকে সেদিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। ঝাড়গ্রামের জেলা নেতাদেরও সাংগঠনিক বিষয়ে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
দলের সংগঠন যেখানে ঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না, সেখানে দলের ছাত্র–যুবদেরও মাঠে নেমে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। দলের সংগঠন নিয়ে কী ভাবছেন ঝাড়গ্রাম জেলার তৃণমূল নেতারা, সমন্বয় রেখে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কতটা এগিয়েছেন, এ ব্যাপারে তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম টাউন কমিটির সভাপতি তথা জেলা কোর কমিটির সদস্য প্রশান্ত রায়ের কাছে জানতে চান মহাসচিব তথা দলের ঝাড়গ্রাম পর্যবেক্ষক পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা বলেন, “দলের মূল সংগঠনকে সামনে রেখে বুথ থেকে জেলা পর্যন্ত দলকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। সমন্বয় রেখে আলোচনার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। মূল লক্ষ্য হবে সক্রিয় যুব সদস্যদের নিয়ে দলকে শক্তিশালী করা। আমাদের পুরনো কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি রয়েছে। তাতে নতুন সক্রিয় সদস্যদের নিয়ে সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে”।
বুধবারই জঙ্গল মহলের প্রাণকেন্দ্র ঝাড়গ্রাম ঘুরে গেছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ। একগুচ্ছ সরকারি পরিষেবার পাশাপাশি দেবেন্দ্র মোহন হলঘরে দলের জেলা কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করেন তিনি। সেখানেই নেতাদের এই কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি।দলের কিছু সাংগঠনিক কাজকর্মে অসন্তুষ্ট হয়ে জেলার বিধায়কদের লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরানো পর্যন্ত এলাকা ছাড়তে বারণ করেন। পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি গঠনে কোনও রকম দ্বন্দ্ব রাখা যাবে না বলে ব্লক সভাপতিদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন। গোপীবল্লভপুরে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে জেলার কোর কমিটির চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা–কে জানিয়ে দেন, দলে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। কঠোর ভাবে হাল ধরতে হবে। অন্যথায় পদ ছাড়তে হবে।