একঘেয়ে ব্যস্ততার থেকে খানিকটা মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করতে ওরা ছুটে গেছিলেন পাহাড়ের কোলে। কিন্তু প্রকৃতি মুখ ফেরালো। আর তার ফলেই বরফের ধসে কার্যত মৃত্যুর সামনে অপেক্ষা করছেন প্রায় ৭০ জন পর্যটক।
বেশ কিছুদিন ধরেই ভারী তুষারপাতে ঢেকেছে হিমাচল প্রদেশ ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।বিভিন্ন জায়গাতে নেমেছে তুষার ধস। বন্ধ হয়ে গেছে রাস্তা। সূত্রের খবর, এই ধসের কারণে রাস্তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথের বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছেন ৭০ জন পর্যটক৷ এঁদের মধ্যে তিন জন বিদেশিও রয়েছেন৷ পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে পানীয় জল পর্যন্ত নেই পর্যটকদের কাছে। তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা যাচ্ছে না। সার সার গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে হিমাচল প্রদেশের কাজাতে৷ স্পিতি উপত্যকা থেকে সিমলা ফেরার পথে পাঁচ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর এই ধস নামে৷ ফলে গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়ে৷ বেশির ভাগ জায়গায় কাজ করছে না কোনও যোগাযোগ ব্যবস্থাও।
আবহাওয়া দফতরের খবর, চলে যাওয়ার মুখে নতুন করে কামড় বসিয়েছে শীত। তারই ফলে এই তুষারপাত আর তুষার ধসে জর্জরিত হিমাচল প্রদেশ। কয়েক দিনের আগে আবহাওয়া পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই প্রতিকূল অবস্থায় জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালানোও মুশকিল হচ্ছে উদ্ধারকারীদের পক্ষে। ইতিমধ্যেই হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলায় নামগিয়া-ডোগরি এলাকায় টহল দিতে বেরিয়ে তুষার ধসে নিখোঁজ হয়েছে আইটিবিপি ও সেনাদের একটি দল। দলটিতে ৪ জন আইটিবিপি ও ৬ জন সেনা জওয়ান ছিলেন। উদ্ধারকাজ চলছে এখনও। তার মধ্যেই নতুন করে বরফ পড়ছে, ধস নামছে রোজ। এসডিএম জানান, শেগোতে পানীয় জল পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ এ ছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকমের সহায়তা করা হচ্ছে পর্যটকদের৷ ইতিমধ্যেই পূর্ত দফতর ও বিআরও টিম বরফ পরিস্কার করার কাজ শুরু করেছে৷ কাজা থেকে শেগো পর্যন্ত বরফ সরানোর কাজ চলছে৷