শহরের আবর্জনা পুড়িয়ে তা থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করবার প্রযুক্তি দিতে রাজি ফিনল্যান্ড। যে দেশের জঞ্জালের ৯৯% বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার হয়। এবার শহরবাসীদের বেশি করে খেতে হবে শাক, সব্জি, মাছ-মাংস কারণ এসব পুড়িয়েই তৈরি হবে বিদ্যুৎ। জঞ্জালের পরিমাণ পর্যাপ্ত হলে তবেই রাজারহাটে ছাপনা মৌজায় ছয় একর জমিতে ‘ওয়েস্ট টু এনার্জি’ প্রকল্পে বিদ্যুৎ তৈরি করবে ইউরোপের ওই দেশ।
এবার বাংলায় গ্লোবাল বিজনেট সামিটে অংশগ্রহন করতে এসেছিল ফিনল্যান্ডের একটি শিল্পোদ্যোগীদের একটি দল। সেই দলে ছিলেন এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিশেষজ্ঞরা। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বিজিবিএস- এর মঞ্চেই এই প্রসঙ্গে একদফা আলোচনা হয়ে গিয়েছে। গোটা পৃথিবীতে ওরা “ওয়েস্ট টু এনার্জি” প্রকল্পে প্রথম।
রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ফিনল্যান্ডের বিশেষজ্ঞরা যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেন তার হিসেবে হয় গিগাওয়াট পার আওয়ারে৷ আমাদের এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সূচক হচ্ছে মেগাওয়াট বা কিলোওয়াট পার আওয়ার। এক গিগাওয়াট হচ্ছে ১০ লক্ষ কিলোওয়াট।
ফিনল্যান্ড সংস্থার অন্যতম শর্ত হল, বিদ্যুৎ বিক্রি করে যে লাভ হবে রাজ্যের, তার একটি অংশ গ্রাহকদের ইনসেনটিভ হিসেবে দিতে হবে। প্লাস্টিক বা ওই জাতীয় সামগ্রীর ব্যবহার কমাতে এবং সচেতনতা বাড়াতেই দেওয়া হবে এই ইনসেনটিভ। মহানগরীর জঞ্জাল সমস্যা নিরসনে এই প্রকল্প সহায়ক তা মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।