নিজের রাজনৈতিক সুবিধার স্বার্থে সিবিআইকে ব্যবহার করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গত রবিবার রাত থেকে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গোটা বাংলা এগিয়ে এসেছিল তাঁর প্রতি সমর্থন জানাতে। মমতার এই প্রতিবাদের ফলে কার্যত আরও ব্যাকফুটে চলে গেল বিজেপি। সদ্য প্রকাশিত কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে বিন্দুমাত্র আলোচনাও কোথাও হচ্ছেনা। জাতীয় রাজনীতি থেকে সাধারণ মানুষ- সকলের কৌতূহল এবং আগ্রহের লক্ষ্য এখন মমতা এবং মোদীর বিরুদ্ধে তাঁর সত্যাগ্রহ আন্দোলন।
মোদী সরকারের পরিকল্পনা ছিল আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ বাজেট দিয়েই বাজিমাত করার এবং রাজ্যে প্রচার শুরু করার। কিন্তু বাজিমাত করা তো দূর অস্ত, সামান্য আলোচনার আলোতেও নেই বিজেপি। আর এর ফলে বেশ বিপাকে গেরুয়া শিবির।
বস্তুত ৭২ ঘণ্টা ধরে দেশের সমস্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক মিডিয়ার প্রধান প্রতিপাদ্য ছিল ননস্টপ মমতা বনাম মোদীর লড়াই। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ট্রেন্ডিং মমতাই। দিনভর আলোচনা চলছে মমতার এই লড়াই নিয়ে। বিজেপি কার্যত নিশ্চিহ্ন এই আবহে। এর জেরে যে বাজেট ঘোষণাগুলির চর্চা পিছনে চলে গেল এবং সব বিরোধী দল আরও বেশি করে জোটবদ্ধ হয়ে গেল, সেটা উপলব্ধি করেছে বিজেপি সরকার নিজেও।
অনৈতিক ভাবে সিবিআই দ্বারা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে হানা দেওয়ার মত ঘটনা ঘটিয়ে বিজেপি চেয়েছিল বাংলায় নিজেদের খুঁটি শক্ত করতে। কিন্তু আসলে নিজেদের দেওয়া চালে নিজেরাই ঘায়েল হল বিজেপি কর্তৃপক্ষ। বাংলার মানুষ ফের প্রমাণ দিলেন তাঁরা সবসময়েই সত্যের পাশেই থাকবেন৷