বাইকের উপর সওয়ার সোনালী চুলের ছেলেটা৷ দু’চোখে তীক্ষ্ণ নজর, পায়ে বলের জায়গায় বাইকের গিয়ার! মোচড় দিলেন এক্সেলেটরে৷ শো রুম থেকে রাস্তায় বেড়িয়ে এল বাইক৷ ঠিক যেন ডগ-ড্রিবলিংয়ে বিপক্ষের ডিফেন্সকে কাটিয়ে যাওয়া৷ তারপর হুস করে মিলিয়ে গেল সওয়ারি৷ সবুজ মাঠের যুবরাজ মুহূর্তে যেন সিলভার স্ক্রিনের নায়ক৷
শুক্রবারই ক্লাবের পক্ষ থেকে নতুন সাইকেল পেয়েছিলেন। শনিবার পেলেন নতুন বাইক। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ক্লাবের পক্ষ থেকে পেলেন দুটি মূল্যবান পুরস্কার। স্বাভাবিকভাবেই ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞ জবি জাস্টিন। এমনিতে সাইকেল চালাতে ভীষণ ভালবাসেন ইস্টবেঙ্গলের এই তারকা। এতদিন পর্যন্ত সাইকেলে চেপেই আসতেন প্র্যাকটিসে। কলকাতার বড় ক্লাবের একজন তারকা ফুটবলার সাইকেলে চেপে প্র্যাকটিসে আসেন! এমন ছবি এর আগে ফুটবলপ্রেমীরা খুব কমই দেখেছেন। কিন্তু কেরলের ফুটবলার জবি এই ব্যাপারে নির্বিকার। মাটিতে পা রেখে চলতে ভালবাসেন। এখন অবশ্য তিনি ময়দানে মহাতারকার সম্মান পাচ্ছেন। পরপর দুটো ডার্বিতে গোল পেয়েছেন। হয়েছেন ম্যাচের সেরা। লাল–হলুদ কর্তাদের সঙ্গে সমর্থকদেরও নয়নের মণি এখন জবি। তাই ক্লাব তাঁকে বাইক উপহার দিল। শনিবারই বারুইপুরের এক শোরুম থেকে বাইক নিয়ে গেলেন জবি।
আই লিগের ফিরতি ডার্বির আগে জবির সাইকেল চুরি যায়। মন খারাপ ছিল তাঁর। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের সাইকেল চুরির কথা জানিয়েছিলেন জবি। তারপর লাল–হলুদের একাধিক ফ্যানস ক্লাব জবিকে সাইকেল দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। যদিও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবই জবিকে সাইকেলের পর বাইক উপহার দিল।