সংসদে প্রথম থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধীতায় সরব তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিলের বিপক্ষেই ভোট দিয়েছে দলের সাংসদরা। এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবিতে মমতারই সাহায্য চাইল সারা আসাম ছাত্র সংগঠন (আসু)। বৃহস্পতিবার আসু-র উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের এ কথা জানান। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের সংসদের বক্তৃতারও প্রশংসা করেন তিনি।
গতকাল সমুজ্জ্বল বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আসলে ভারতীয় নাগরিকদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। অসমিয়াদের সঙ্গে বাঙালিদের কোনও লড়াই নেই। পুরোটাই ভূমিপুত্র বনাম বহিরাগতদের লড়াই। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি ইচ্ছে করেই হিন্দুদের সঙ্গে মুসলিমদের লড়িয়ে দিতে চাইছে। তিনি স্পষ্ট বলেন, উত্তর-পূর্বকে ‘ডাম্পিং-গ্রাউন্ড’ বানাতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সমালোচনাও করেন সমুজ্বল। তাঁর মতে, এক সময়ের আসু-র নেতা সর্বানন্দ মুখ্যমন্ত্রী চেয়ারে বসে জাতি, মাটি ও ভিটেকে ভুলে গেছেন। এই কারণেই তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্যপ্রার্থী। বৃহস্পতিবারই বিতর্কিত বিলটি প্রত্যাহার, পুলিশি জুলুম বন্ধের দাবিতে শিলচরে ৫ ঘণ্টা ধর্না দেয় আসু।
প্রসঙ্গত, বুধবারই রাজ্যের তিনসুকিয়া জেলায় বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত দাস আসু সমর্থকদের হাতে লাঞ্ছিত হন। এদিনও কালো পতাকা দেখানো হয় মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়ালকে। তবে এর জবাবে প্রকাশ্যেই বিজেপি পাল্টা দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। রঞ্জিত দাস আসু-কে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, প্রয়োজনে বিজেপি সমর্থকরা নাগরিকত্ব বিলের বিরোধীদের প্রতিহত করতে মাঠে নামবেন। মনে করা হচ্ছে রঞ্জিত মাঠে নামা বলতে আসলে হামলা বা জোরজুলুমের কথাই বলতে চেয়েছেন।