টানা তিন-চারদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও মোদীর সভাস্থল ঠিক হয়নি এখনও। প্রথমে সভা হওয়ার কথা ছিল আসানসোলে। পরে বেছে নেওয়া হয় দুর্গাপুর। কিন্তু বিজেপির এই সভা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে হেলদোল নেই। তৃণমূলকে ছেড়ে জনতা আর কাউকে চাইছেও না।
প্রথমে ঠিক ছিল দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর রাজীব গান্ধী স্মৃতি মেলা ময়দানে হবে মোদীর সভা। পরে ঠিক হয় নরেন্দ্র মোদীর ওই জনসভা হতে পারে নেহেরু স্টেডিয়ামে। তাই পুলিশ কর্তারাও যান অণ্ডাল থানা এলাকার দুবচুডুরিয়াতে। সেখানকার সিটি সেন্টারে ভগৎ সিং স্টেডিয়াম দেখেন তাঁরা। কিন্তু এত জায়গা পরিদর্শনের পরেও মোদীর সভাস্থল এখনও ঠিক করা যায়নি। এই প্রসঙ্গে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘তারা তো মানুষের মন জয় করতে পারেনি। তাই সভা করার জায়গাও পাচ্ছে না। মানুষকেও পাবে না’।
এদিকে মোদীর সভায় হাজির হওয়ার জন্য নেতৃত্বের তরফে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই জেলার বেশীরভাগ মানুষই চাশবাশ করে খান। দুর্গাপুরে গেলে একটা গোটা দিনই মাটি। আলু, সবজি ও তিলের জমিতে জল দেওয়া-সহ নানা কাজের কথা বলে অনেকেই সভায় যোগদানের অক্ষমতার কথা নেতাদের জানাচ্ছেন। নাম না প্রকাশের শর্তে তাঁরা বললেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিগেডে যেভাবে দেশের তাবড় নেতাদের এক মঞ্চে শামিল করলেন তাতে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেড়ে গিয়েছে। আমাদের বহু চেনা বিজেপির কর্মী-সমর্থকই তৃণমূলকে সমর্থন করবেন বলে জানাচ্ছেন’।
তবে অকাট্য যুক্তি খাড়া করলেন কাটোয়ার পানুহাটের বিজেপির এক নেতা। তাঁর কথায়, ‘এখন তো প্রধানমন্ত্রীত্বের লড়াই দাঁড়িয়েছে মোদীজির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই বিজেপিকে পছন্দ করলেও বাংলার মানুষ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী পদে মমতাকেই চাইব। মনে হয় বাংলার বহু বিজেপি-কর্মী সমর্থকেরাও সেটাই চাইবেন’।