ক্রীড়াক্ষেত্রেও বিভেদের রাজনীতি ও নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্র৷ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে দেশের ক্রীড়া সংস্কৃতি ও পরিকাঠামো৷ সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ‘খেলাশ্রী’ অনুষ্ঠানে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকারের এই নীতির বিরুদ্ধে ছড়া করে মমতা বলেন, ‘চলবে না অন্যায় টিকবে না ফন্দী/ জনগনের আদালতে হতে হবে বন্দী’।
নাম না করে সিবিআই-ইডি তল্লাশি নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানকে তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘আগে অনেক কোম্পানি বিভিন্ন ক্লাবকে অর্থ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসত। কিন্তু সেগুলিতে এখন কেন্দ্রীয় সংস্থা তল্লাশির চালাচ্ছে৷ চোখ রাঙাচ্ছে৷ ভয়ে সাহায্য করার ভাবনা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে সংস্থাগুলি। অথচ ক্লাবগুলি স্পনসরশিপের টাকাতেই চলে।’
ব্যক্তিগত ফোন, নেটে আড়িপাতা নিয়ে এবং আসামের এনআরসি নিয়েও কেন্দ্রের পদক্ষেপকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মমতা। তাঁর কথায়, ‘এখন গোপনীয়তার কোনও অধিকার নেই। বেআইনিভাবে আড়ি পেতে স্টিং অপারেশন চলছে’। এনআরসি ইস্যুতেও সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর অভিযোগ, ‘বাংলা কাউকে তাড়িয়ে দেয় না। এক নাগরিকত্ব দু’বার করে দিয়ে কাউকে বিদেশি করা যাবে না। কারও জন্মের তারিখ উল্লেখ না থাকলে তাঁকে এনআরসি তালিকাভুক্ত না করে নাগরিকত্বের রিপোর্টে ছয় বছরের জন্য বিদেশি ঘোষণা করা হচ্ছে। ছয় বছর পর তাঁকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এসব চলবে না’। এরপরেই মমতা বলেন, ‘আমরা বলি, চলবে না অন্যায় টিকবে না ফন্দী/ জনগণের আদালতে হতে হবে ফন্দী। জনগণের আদালতেই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় আদালত’।