রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিল্পে বিনিয়োগ এবং শিল্পের উন্নতি নিয়ে সচেষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর ঐকান্তিক চেষ্টা যেমন রাজ্যের ধুঁকতে থাকা শিল্পক্ষেত্রগুলিতে নয়া প্রাণ সঞ্চার করেছে, তেমনি গড়ে উঠছে নানা শিল্পতালুকও। সেই পথ ধরেই এবার একসঙ্গে ৪২টি শিল্পসংস্থাকে জমি দিল রাজ্য সরকার। মোট জমির পরিমাণ ৩৪.৩৬ একর। এই জমিতে শিল্প গড়লে, সেখানে অন্তত দু’হাজার মানুষের চাকরি হওয়ার কথা। প্রস্তাবিত বিনিয়োগের অঙ্ক মোট ৩৬৪ কোটি টাকা।
ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতর সূত্রে জানা গেছে, জমি দেওয়ার আগে শিল্পসংস্থাগুলির আর্থিক অবস্থা যাচাই করে নেওয়া হয়েছে। তারা আদৌ সেই জমিতে শিল্প গড়বে কি না, তা জানতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে আন্তর্জাতিক শিল্প উপদেষ্টা সংস্থাকে দিয়ে রেটিং করানো হয়েছে। দফতরের কর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিককালে একসঙ্গে এতগুলি শিল্পসংস্থাকে জমি দেওয়ার নজির নেই রাজ্যে।
ছোট শিল্পকে জমি দেওয়া এবং তাদের পরিকাঠামো গড়ে দেওয়ার কাজটি করে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। সাধারণত রাজ্যের হাতে থাকা শিল্পতালুক বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটগুলি থেকেই জমি দেওয়া হয়। জমিগুলিকে শিল্পের উপযুক্ত করে তোলা, সেখানে রাস্তা নির্মাণ বা জল ও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করে এই সরকারি সংস্থাই। নিগমের হাতে এই মুহূর্তে মোট ৫২টি এস্টেট আছে। এগুলির মধ্যে থেকেই ওই ৪২টি সংস্থাকে জমি দেওয়া হচ্ছে।
কল্যাণীতে ৩টি, আমবাড়ি ফালাকাটায় ৭টি, রেজিনগরে ১টি, বাউরিয়ায় ৫টি, বোলপুরে ৬টি, অশোকনগরে ২টি, বালটিকুরিতে ১টি, বহরমপুরে ২টি, দুর্গাপুরে ৪টি, ট্যাংরায় ১টি, খড়গপুরে ২টি, ইলুবাড়িতে ১টি, সন্তোষপুরে ৩টি, শিলিগুড়িতে ১টি, বারুইপুরে ১টি শক্তিগড়ে ২টি সংস্থাকে জমি দেওয়া হচ্ছে। নিগম কর্তাদের দাবি, জমির দাম এমনই রাখা হয়েছে, যা কোনওভাবেই শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে মূলধনে টান পড়তে দেবে না। ৩০ বছরের লিজে কাঠা পিছু ৩০ হাজার টাকা থেকে জমির দাম শুরু হয়েছে। জানা গেছে, সবকটি জমি লিজ দিয়ে নিগমের আয় হবে মোট ১৭ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা।