এ বার শুধু মাঠে নেমে পড়ার পালা। মঞ্চ তৈরি। সমর্থকরা তৈরী রবিবারের টানটান এক বাস্তব চিত্রের জন্য। বাকিটা বলবে ৯০ মিনিটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ডার্বি, যা বার বারই বদলে দিয়েছে সব হিসেব। আর এক নতুনের অপেক্ষায় রবিবার।
প্রথম ডার্বি হেরে অনেকটাই ব্যাটফুটে চলে যাওয়া মোহনবাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী বিদায়ের পর রাতারাতি প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল কোচ খালিদ জামিলের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন ক্লাব কর্তারা। তাঁর আগমনে জয়ে ফিরেছে মোহনবাগান। তা হলে কি খালিদের সামনে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে বদলার পালা? করণ ইস্টবেঙ্গল থেকে বিদায়টা যে তার খুব ভালমতো হয়নি। মুখে কিছু না বললেও কোচের সামনে কিন্তু বড় দলেও নিজেকে প্রমাণ করার লক্ষ্য।
ঠিক যে ভাবে ইস্টবেঙ্গলের সামনে লক্ষ্য ডার্বি জিতে আই লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে ফিরে আসার লক্ষ্য। যার ফলে লাল-হলুদ তাঁবুতে ডার্বি ঘিরে শুধুই রাখঢাক পরিস্থিতি। কখনও কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে মাঠ তো কখনও সাইয়ের মাঠে তাঁদের পাহাড়ায় ব্যস্ত সিআরপিএফ। কারণ নিজের ছক দেখাতে চান না আলেজান্দ্রো মেনেন্দেস। ধরে রাখতে চান ডার্বি জয়ের ধারা।
ডার্বিতে ৪-৪-১-১-এ খেলতে দেখা যেতে পারে ইস্টবেঙ্গলকে। চোট সারিয়ে ফেরা আক্রমণে জবি জাস্টিনকে রেখে তাঁর একটু পিছন থেকে দ্বিতীয় স্ট্রাইকারের ভূমিকায় খেলতে দেখা যাবে স্যান্টোস কোলাডোকে। দুই উইংয়ের দায়িত্বে থাকবেন টনি ডোভাল এবং ব্রেন্ডন। লাল-হলুদের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডের দায়িত্ব থাকবে অধিনায়ক লালরিনডিকা রালতে এবং কাশিম আইদারার উপর। ডিফেন্সে বোরহা গোমেজ এবং জনি অ্যাকোস্টাকে দেখা যাবে সনিদের সামলাতে। অ্যারোজ ম্যাচে লাল-কার্ড দেখা মনোজ মহম্মদের পরিবর্তে লেফট ব্যাক পজিশনে কমলপ্রীত সিং-এর খেলার সম্ভবনা রয়েছে। রাইট ব্যাকে থাকবেন লালরাম চুলোভা। গোলে সেই রক্ষিত ডাগর।
মোহনবাগানের প্রথম একাদশে থাকছেন জোড়া বিদেশি স্ট্রাইকার। চোটের ইউটার প্রথম থেকে খেলার সম্ভবনা নেই। তিনি না পারলে বহু যুদ্ধের নায়ক মেহতাব হুসেনকে তৈরি রাখছেন খালিদ। খালিদ কিন্তু ৪-৪-২ ছকেই বিশ্বাসী। দীপান্দা ডিকা এবং হেনরি কিসেকাকে সামনে রেখে সোনি নর্ডিকে লেফট উইংয়ে খেলতে দেখা যাবে। রাইট উইংয়এর দায়িত্বে শেখ ফৈয়াজ। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে ওমর আলহুসেইনি এবং মেহতাব হুসেন অথবা ইউটা। রক্ষণে খেলবে কিম কিমা-কিংসলে। দুই সাইডব্যাক গুরজিন্দর কুমার এবং অভিষেক আম্বেকর। গোল আরও এক বহু যুদ্ধের নায়ক শিলটন পাল।
দুই দলকে ঘিরে উত্তেজনা পারদ চড়ছে তরতরিয়ে। সারা হয়ে গিয়েছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিও। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন স্লোগান। রবিবার শীতের দুপুরে গোটা শহরের সব রাস্তা যে গিয়ে মিশে যাবে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনেই তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। আই লিগের শেষ ডার্বি দেখতে যে গ্যালারিও ভরে যাবে সেটা নিয়েও নিশ্চিত আয়োজত মোহনবাগান।