প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটের হার। বেশ চাপেই ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু আজ মাউন্ট মঙ্গানুইতে চাপটা আরও বাড়ল। একেবারেই একপেশে ম্যাচ বলতে যা বোঝায় আরকি। আজ ভারতের ৪ উইকেটে ৩২৪ রান তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে গেছে ৫৮ বল হাতে রেখে!
বিরাট কোহলির এই দুর্দমনীয় ভারতের বিপক্ষে তাই ফল কিংবা ভাগ্য কিছুই পাল্টাতে পারছে না নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁদের ৯০ রানের এই হার ওয়ানডেতে রান হিসেবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়।
তিনশোর্ধ্ব রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই সুবিধা করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ১৮তম ওভারে স্কোরবোর্ডে এক শ রান উঠলেও ফিরে যান টপঅর্ডারের প্রথম চার ব্যাটসম্যান। বড় সংগ্রহ তাড়া করতে মার্টিন গাপটিল (১৫), কলিন মানরো (৩১, উইলিয়ামসন (২০) ও রস টেলরদের (২২) কেউ ইনিংস বড় করতে পারেননি। বোলিংয়ে ভারতের হয়ে মূল কাজটি করেন স্পিনার কুলদীপ যাদব। ৪৫ রানে ৪ উইকেট নেন এই স্পিনার। যাদবের আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডেতে দুবার ৪টি করে উইকেট নেওয়ার রেকর্ড আছে অনিল কুম্বলে ও জাভাগাল শ্রীনাথের।
১৬৬ রান করতেই ৮ উইকেট পড়ে যায় নিউজিল্যান্ডের। নবম উইকেট জুটিতে এসেছে ৫৮ রান—যা কিনা দলটির ইনিংসে সর্বোচ্চ! পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজে তৃতীয় ওয়ানডে সোমবার।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ঠিক উল্টো শুরু করেছিল ভারত। ওপেনিং জুটিতেই ১৫৪ রান তোলেন রোহিত ও ধাওয়ান। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা পেছনে ফেললেন টেন্ডুলকার-শেবাগের শতরানের জুটির কীর্তিকে। ওয়ানডেতে ১৩বার শতরানের জুটি গড়েছেন প্রাক্তন দুই কিংবদন্তি। রোহিত-ধাওয়ান আজ তুলে নিয়েছেন নিজেদের ১৪তম শতরানের জুটি। দুজনের গড়ে দেওয়া এই ভিতে ভর করে ৪ উইকেটে ৩২৪ রান তোলে ভারত।
রোহিত ৮৭ রান করে আউট হন। ৬৬ রান করেন ধাওয়ান। এরপর বাকি তিন ব্যাটসম্যানের স্কোর যথাক্রমে—কোহলি (৪৩), অম্বতি রাইড়ু (৪৭) ও মহেন্দ্র সিং ধোনি (৪৮*)। ভারতের ওয়ানডে ইতিহাসে এই প্রথম টপ অর্ডারের শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যান চল্লিশোর্ধ্ব রান পেলেন। ওয়ানডে ইতিহাসেই এমন ঘটনা ঘটেছে মাত্র ১০বার।