‘মহিলা সমাজের কলঙ্ক মায়া। একজন হিজড়ার থেকেও অধম মায়াবতী।’ উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বসপা সুপ্রিমো মায়াবতীকে আক্রমণ করতে গিয়ে এমনই সব কুকথার বন্যা বইয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক সাধনা সিং।
এক জনসভায় রাজ্যে সপা-বসপা জোট সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুঘলসরাইয়ের বিধায়ক সাধনা সপা-বসপা নেতাদের ‘গেস্ট হাউস’ সংঘর্ষের কথা টেনে আনেন। ওই ঘটনায় মায়াবতী-সহ বসপার অন্যান্য নেতাদের ওপরে সপা নেতারা হামলা করেন। ওই ঘটনায় মায়াবতীর ‘চিরহরণ’ করা হয় বলে অভিযোগ করেন সাধনা।
এখানেই না থেমে মায়াবতী সম্পর্কে আরও সব আপত্তিকর মন্তব্য করতে শুরু সাধনা। বিজেপি বিধায়ক বলেন, মায়াবতীর কোনও আত্মমর্যাদা বোধ নেই। ওঁকে একপ্রকার শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল। এখনও তা হচ্ছে। আর এই মহিলা ক্ষমতার জন্য এখনও নিজের মর্যাদা বিক্রি করে চলেছেন। মহিলা সমাজের কলঙ্ক মায়া। একজন হিজড়ার থেকেও খারাপ মায়াবতী।
এমন মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়। ঘটনার প্রবল প্রতিবাদ করেছে বসপা-সহ অন্যান্য বিরোধীরা। বসপা নেতা সতীশ মিশ্র বলেন, বসপা-সপা জোট বিজেপির জমি নাড়িয়ে দিয়েছে। তাই চিন্তায় বিজেপি নেতাদের এখন মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। আমাদের নেত্রী সম্পর্কে বিজেপি বিধায়ক যে কথা বলেছেন তাতে ওদের মানটা বোঝা যায়। এই ধরণের মানুষকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত।
এ প্রসঙ্গে সপা সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব বলেন, মায়াবতীজিকে অপমান মানে আমাকেও অপমান। ওঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য দেশের মহিলাদেরও অপমান। ওই ধরনের মন্তব্য বিজেপির অসহায়তা বুঝিয়ে দেয়। আবার কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চর্তুবেদী বলেন, রাজনৈতিক বিশ্বাসের তফাত থাকতে পারে। কিন্তু একজন মহিলার মুখ থেকে ওই ধরনের মন্তব্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিধায়কের এমন বেফাঁস মন্তব্যের ফলে যে আবারও নতুন করে বিপাকে পড়েছে বিজেপি, তা বলাই বাহুল্য।