বিগত প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতি চলছিল গতকালের ঐতিহাসিক ব্রিগেডের৷ কোথাও যেন এতটুকু ফাঁক না থাকে সেদিকে কড়া নজর রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সমাবেশ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ব্রিগেড চত্বর যত শীঘ্র সম্ভব পরিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ তাই ব্রিগেডে সভা শেষ হতে না হতে ঝাঁটা নিয়ে সাফাইয়ের কাজ শুরু করে দিলেন পুরসভার সাফাইকর্মীরা। শনিবার সকাল থেকেই ১০০ দিনের কর্মীরা শহর পরিষ্কারের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। মাঠের আবর্জনা সরাতে পুরসভার গাড়িও হাজির ছিল। মেয়র পারিষদ (কঠিন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) দেবব্রত মজুমদারের নেতৃত্বে শুরু হয়ে যায় সাফাই অভিযান।
গতকাল সকাল থেকেই নিকাশি ও জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। দফায় দফায় নজরদারি চালান অফিসাররা। সভা শেষে মেয়র পারিষদ জানান, “দেড় হাজার কর্মী মাঠ পরিষ্কারের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। সন্ধে নামার আগে পর্যন্ত যতটা সম্ভব ময়দান পরিষ্কারের কাজ শেষ করে ফেলা হবে। এরপরও যতটা বাকি থাকবে রবিবার সকাল থেকেই আবার শুরু হবে”৷
শনিবার সকাল থেকেই এক থেকে দেড় হাজার ১০০ দিনের কর্মী প্রস্তুত রাখা হয়। সমাবেশ–ময়দানের সাফাইয়ের জন্য। পাশাপাশি শহরের রাস্তাঘাট পরিষ্কারের জন্যও ওয়ার্ড ভিত্তিতে সাফাইকর্মীরা কাজ করছেন। বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ শহরে এসেছেন। অনেক জায়গাতেই ক্যাম্প করে খাবার বিতরণ করা হয়। সেইসব এলাকার আবর্জনা পরিষ্কার দুপুর থেকেই শুরু হয়ে গেছে। সভা চলাকালীন সভা চত্বরেও তৈরি ছিলেন সাফাইকর্মীরা৷
মেয়র পারিষদের সঙ্গে ময়দানের সাফাই কাজের ওপর নজরদারি চালান পুর অফিসাররা। পুরসভার একাংশের কথায়, ব্যস্ততা ছিল জল, পার্ক ও বিল্ডিং বিভাগেও।