মোদী বিরোধী মহাজোটের পথ দেখাল বাংলা। আর সেই পথ তৈরি করলেন বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ শনিবার মমতার ডাকে সাড়া দিয়েই মাঘের শীতে ব্রিগেডে জড়ো হয়েছেন জাতীয় রাজনীতির হেভিওয়েটরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন মন্ত্রী- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে সবাই একজোট হয়েছে ব্রিগেডের মঞ্চে। একটাই লক্ষ্য, ‘পরিবর্তন।’
বিগ্রেডের মঞ্চ থেকে সেই মোদী সরকার পরিবর্তনের ডাক দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা আন্দোলনে পথ দেখিয়েছিল বাংলা। যখনই কোনও বড় বিপদ এসেছে বাংলা পথ দেখিয়েছে। এবারও বাংলাই নেতৃত্ব দেবে। বিজেপিকে উৎখাত করতেই হবে।’
‘আচ্ছে দিন’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতা এসেছিল মোদী সরকার। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে সেই ‘আচ্ছে দিন’কে একহাত নেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, ‘অনেক হয়েছে আচ্ছে দিন, এবার বিজেপিকে বাদ দিন। অনেক হয়েছে আচ্ছে দিন, দিল্লিতে পরিবর্তন নিয়ে আসুন। বিহার, ইউপি, বাংলায় শূন্য পেতে দিন। দেশ এক রাখতে চাইলে বিজেপিকে বাদ দিন। কৃষক, শ্রমিক, যুবা সম্প্রদায়, মানুষকে আচ্ছে রাখতে বিজেপিকে বাদ দিন।’
মমতার কথায়, ‘মোদী সরকারের এক্সপায়েরি ডেট হয়ে গিয়েছে। বাংলার মাটি স্বাধীনতা আন্দোলনের, নবজাগরেণর পথ দেখিয়েছে। যখন-ই কোনও বিপদ এসেছে, তখন-ই বাংলা পথ দেখিয়েছে।” ব্রিগেড মঞ্চ থেকে মোদী সরকারকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। তোপ দাগেন, ‘ভারত সর্বস্বান্ত, বিজেপি দাঙ্গায় ব্যস্ত। ব্যাঙ্কে ধস, সিবিআই-আরবিআই-এ ধস। গণতন্ত্রে ধস, বিজেপি বশ।’
বিজেপিকে রোখার জন্য আন্দোলনের দিক নির্দেশও করে দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আগামীদিনে বিজেপি যেখানে মিটিং করবে, সেখানেই পাল্টা মিটিং করবেন। বিজেপি কুৎসা রটালেই প্রতিবাদে পথে নামুন।’ বিজেপি খালি ‘গর্জন’ নয় ‘তর্জন’ করে, কিন্তু ‘অর্জন’ করতে পারে না বলেও কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হিটলার, মুসোলিনির সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধীর জরুরী অবস্থার চেয়েও ভয়ঙ্কর এই সুপার ইমার্জেন্সি।’
