৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেই প্রমাণ মিলেছিল বিজেপির বিজয়রথও থামিয়ে দেওয়া সম্ভব। এবং ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়লে খুব সহজেই দিল্লীর মসনদ থেকে উপড়ে ফেলা যাবে পদ্মকে। সেজন্যই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লোকসভা নির্বাচনে দেশকে গেরুয়ামুক্ত করতে ব্রিগেডে একজোট হয়েছে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন শিবির৷ তাই তৃণমূল সুপ্রিমোর এই ব্রিগেডকে মহারণ হিসেবেই দেখছে গোটা দেশ৷ আজকের সভা থেকেই বিরোধী শিবিরগুলির তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বরা দিলেন মোদীকে হারিয়ে দেশ বাঁচানোর, গণতন্ত্র রক্ষার বার্তা৷ আর মমতার এই ব্রিগেডের প্রশংসা করে সেই মঞ্চ থেকে তেমনই বার্তা দিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুও৷
এদিন ব্রিগেডের সভামঞ্চ থেকে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত দেশ, সবকা সাথ সবকা বিকাশ, নোটবাতিল, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্মার্ট সিটি, কালো টাকা ফেরত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার শুধু স্লোগানই দিয়েছে, কার্যক্ষেত্রে তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন হয়নি৷ বিশেষ করে কৃষকদের দুরাবস্থায় আলোকপাত করে তিনি জানান, যে কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতির কথা মোদী বলেছিলেন তা হয়নি৷ তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে, সে কারণেই তারা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে৷ কৃষকদের সমস্যা নিয়ে, তাদের ইস্যু নিয়ে মোদীর সরকার মোটেই চিন্তিত নয় বলে অভিযোগ অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর৷
তবে এখানেই শেষ নয়। এর পাশাপাশি তিনি তুলে আনেন নোটবাতিল প্রসঙ্গও৷ তিনি জানান, রাতারাতি নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ আর তারপরই বন্ধ হয়ে যায় এটিএম৷ ব্যাংকে টাকা নিতে গিয়ে হয়রানি৷ অথচ কালো টাকাও ফেরত আসেনি৷ তাঁর মতে, এ আসলে এক চূড়ান্ত দুর্নীতি৷ আর এই দুর্নীতির মধ্যে জিএসটি থেকে এমএসপি (ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস) নিয়ে প্রতারণারও উল্লেখ করেন তিনি৷
আবার অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে প্রতিশ্রুতি মোদী দিয়েছিলেন তা পূরণ করতেও তিনি ব্যর্থ। পাশাপাশি জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতেও পারেননি তিনি৷ যার ফলে বারবারই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে দেশবাসীকে। অভিযোগ চন্দ্রবাবুর। এরপরই তিনি উপস্থিত জনতার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, আপনারা কি মোদী আর অমিত শাহকে দেখতে চান? একইসঙ্গে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য চিন্তা প্রকাশ করে, মমতার সুরে সুর মিলিয়েই গণতন্ত্র রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি৷