জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম, লালগড়, সাঁকরাইল, জামবনি কিংবা পুরুলিয়া, কাটোয়া, মেদিনীপুর ইত্যাদি সব জেলা জুড়েই চলছে তুমুল ব্যস্ততা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে আর ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। তাঁর প্রতি সমর্থনের হাত শক্ত করতে সব জেলার মানুষই আসবেন আগামীকাল। তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ঘিরে ব্যস্ত সব জেলাই।
মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ব্যাপক হারে উন্নয়ন হয়েছে পুরুলিয়ার। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই সেখানকার আদিবাসীদের মিলেছে সরকারি পরিচয়পত্র এমনকি সরকারি ভাতাও। তাই তাঁর পাশে প্রবল ভাবে থাকতে ছৌ, টুসু নিয়েই ব্রিগেডের সভায় রওনা হলেন তাঁরা। ব্রিগেডের মঞ্চ নয়, সভার খোলা মঞ্চেই নাচ দেখাবেন তাঁরা। ছৌ শিল্পী বিনয় মাহাতো বলেন, “ এতদিন কোন সরকার আমাদের যা দেননি তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি ভাতা থেকে সরকারি স্বীকৃতি এবং সরকারি অনুষ্ঠানের সুযোগ এই সরকারই আমাদের দিয়েছে।”
সাঁকরাইলে সোমনাথ মহাপাত্রের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল এলাকা পরিক্রমা করে গতকাল। মিছিলে মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মত। লালগড়ে ব্রিগেড সমাবেশের জন্যে ঝাড়গ্রামের সাংসদ উমা সোরেনের উপস্থিতিতে মিছিল, মিটিং-এর মাধ্যমে জোরদার প্রচার চলে।
মেদিনীপুরের বিধায়ক ম্রিগেন মাইতির নেতৃত্বে সদর ব্লকের গুরগুড়িপাল এলাকায় মিছিল হয়। খড়্গপুরের কলাইকুন্ডায় বিধায়ক দীনেন রায়ের নেতৃত্বে এবং বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী নেতৃত্বে গড়বেতায় মিছিল হয়। ডেবরার সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি এবং বিধায়ক সেলিমা খাতুন। সব মিলিয়ে সারা রাজ্যজুড়ে আগামীকালের জন্যে একেবারে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। তারপরেই বিজেপির বিদায় ঘণ্টা বাজাতে এবং মুখ্যমন্ত্রীর হাত শক্ত করার উদ্দেশ্যে সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্ত আগমন ঘটতে চলেছে ব্রিগেডে।




