ক্ষমতায় এসেই এ রাজ্যের পর্যটনকে পাখির চোখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় পর্যটক টানতে তাঁর নেতৃত্বে গোটা রাজ্য জুড়েই চলছে পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে ঢেলে সাজানোর কাজ। পাশাপাশি গড়ে উঠছে নতুন নতুন পর্যটনকেন্দ্রও। তাঁর এই পদক্ষেপ যে সম্পূর্ণ সফল তা প্রমাণিত হল সোমবার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) আয়োজিত ‘বেঙ্গল ট্যুরিজম গ্লোবাল মিট ২০১৯’ বা ‘ডেস্টিনেশন ইস্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে। রাজ্যর পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জানালেন, “দেশের পর্যটকদের কাছে গন্তব্যস্থল হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ”।
গতকাল ওই অনুষ্ঠানে পর্যটন মন্ত্রী বলেন, “ রাজ্যের পর্যটন শিল্পের প্রসারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ রাজ্যের দুর্গাপুজো ‘কার্নিভাল’ আজ অত্যন্ত জনপ্রিয়। পর্যটন প্রসারে যা যা প্রয়োজন তার সবই এ রাজ্যে আছে। এই ক্ষেত্রটিতে গত কয়েক বছরে ৫ লক্ষেরও বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে।’’
রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তুলে ধরেছেন কলকাতা এবং রাজ্যের অন্যত্র বিভিন্ন ‘হেরিটেজ’ সম্পত্তিগুলির কথা। জানিয়েছেন বাগডোগরায় বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকার জমি দিচ্ছে। পর্যটন প্রসারের জন্য বেসরকারি সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “পর্যটন শিল্পে আমরা বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানাচ্ছি’’। অত্রি ভট্টাচার্য রাজ্যের হোমস্টেগুলির আরও উন্নতির ওপর জোর দিয়েছেন। নিউ টাউনে গড়ে তোলা বিভিন্ন পরিকাঠামোর দিকটি তুলে ধরেছেন দেবাশিস সেন।
গতকাল ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি ও পর্যটন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব দেবাশিস সেন, স্বরাষ্ট্র ও পর্যটন সচিব অত্রি ভট্টাচার্য, কলকাতা বিমান বন্দরের ডিরেক্টর অতুল দীক্ষিত এবং অন্যরা। দেশের বিভিন্ন পর্যটক ও হোটেল সংস্থা ছাড়াও ৪৩টি দেশ থেকে ১২০ জন প্রতিনিধি এখানে যোগ দিয়েছেন।