তিনদিন পরে অবশেষে ঘরের ছেলে থুড়ি খাঁচার বাঘ ফিরে এল খাঁচায়। ১ জানুয়ারি আচমকাই শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কের এনক্লোজার থেকে বেপাত্তা হয়ে যায় শচীন নামের ওই চিতাবাঘটি। বনকর্মীরা তারপর থেকেই হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন বাঘটিকে। সবাইকে নাকাল করে গতকাল নিজেই ফিরে এল শচীন।
যদি নিজে থেকে ফিরে আসে, তার জন্য বিকেলে ফুরোতেই এনক্লোজারের দরজা খুলে রাখা হচ্ছিল। পেতে রাখা ছিল খাঁচার ফাঁদও। দরজা খুলতে যাওয়ার সময় সেই খাঁচার মধ্যেই হদিশ মেলে সচিনের। পেটের তাগিদেই সে ফিরে এসেছে বলে ধারণা বন দফতরের।
গত ১ জানুয়ারি এনক্লোজারের ১২ ফুট উঁচু লোহার বেড়া টপকে বাইরে বেরিয়ে যায় সচিন। সকাল ১০টা নাগাদ পার্ক খোলার আগে রুটিন মাফিক পরিদর্শন করছিলেন বনকর্মীরা। সেই সময় পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘটিকে খুঁজে না পেয়ে টনক নড়ে তাঁদের। তার পর থেকে ২৯৭ হেক্টরের পার্ক তন্নতন্ন করেতল্লাশি শুরু হয়। ঘুম পাড়ানি গুলি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আশপাশের এলাকায় তল্লাশিতে নামে বন দফতরের প্রায় ১০০ কর্মী। নামানো হয় হাতি এমনকি ড্রোনও। কিন্তু দেখা মেলেনি সচিনের। আনা হয়েছিল বাড়তি বনকর্মীদেরও। ট্র্যাপ ক্যামেরার মাধ্যমেও চালানো হচ্ছিল তল্লাশি। রাইনো এনক্লোজারের সামনে মঙ্গলবার রাতে তাকে একবার দেখা গেছিল। তারপর থেকেই বেপাত্তা ছিল সে।
শচীন পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে নজরবন্দী করে রাখা হয় তার আরেক সঙ্গী সৌরভকে। খোলা জঙ্গল থেকে ‘নাইট শেল্টার’-এ আনা হয় তাকে। বন্ধ করে দেওয়া হয় লেপার্ড সাফারি। বনকর্মীদের ধারণা আবার এক সঙ্গেই থাকতে চলেছে বেঙ্গল সাফারির শচীন-সৌরভ জুটি।