নতুন বছরের শুরুটা বেশ ভালোই যাচ্ছে পরিচালক রোহিত শেট্টির। তাঁর পরিচালিত সিনেমা সিম্বা মুক্তির পঞ্চম দিনেই ঢুকে পড়ল ১০০ কোটির ক্লাবে। আর তার সঙ্গেই পরিচালক গড়ে ফেললেন এক রেকর্ড, যার পরিচালিত পরপর ৮ টি ছবিই করে ফেলেছে ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা।
কখনও অ্যাকশন। কখনও কমেডি। এ যেন পরিচালক রোহিত শেট্টির চেনা সমীকরণ। আর তাঁর সাথে যোগ হয় দুর্দান্ত সিনেমাটোগ্রাফি, ক্যামেরার নিখুঁত ব্যবহার আর যথাযথ প্রচার, যার ওপরে ভিত্তি করেই পরপর সিনেমাগুলিতে সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁর পরিচালিত ছবিগুলির এক ঝলক যারা স্থান পেয়েছে ১০০ কোটির ক্লাবে।
১। ২০১০ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘গোলমাল থ্রি’। অজয় দেবগণ, করিনা কপূর অভিনীত এই ছবি বক্স অফিসে ১০৮ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।
২। সিংহম- অ্যাকশন ছবি। মুখ্য ভূমিকায় এক পুলিশ। সেই পুলিশের ভূমিকাতেই তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন অজয় দেবগণ। ২০১১ সালে রোহিত শেট্টির এই ছবিও ১০০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করেছিল।
৩। অজয় দেবগণ আর রোহিত শেট্টি জুটির আর এক সফল ছবি ‘বোল বচ্চন’। এই ছবিতে ছিলেন অভিষেক বচ্চনও। ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি বক্স অফিসে ১০২ কোটি টাকা ব্যবসা করেছিল।
৪। রোহিত শেট্টির জীবনের সেরা হিট ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’। ২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। শাহরুখ-দীপিকার এই ছবি দেশে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। বিশ্বব্যাপী ৪০০ কোটি টাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছিল ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’।
৫। বেশ হিট হয়েছিল ‘সিংহম’-এর সিকুয়েল ‘সিংহম রিটার্নস’ও। ২০১৪ সালে অজয় দেবগণ অভিনীত ‘সিংহম’ ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বিতীয় ছবিটি বক্স অফিসে প্রায় ১৪০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।
৬। ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল রোহিত শেট্টি এবং শাহরুখ খান জুটির দ্বিতীয় ছবিটি। শাহরুখের জীবনেও সেরা হিটগুলির মধ্যে একটি ‘দিলওয়ালে’। ভারতে ১৪০ কোটি এবং বিদেশে ৪০০ কোটি টাকার মতো ব্যবসা করেছিল শাহরুখ-কাজলের এই ছবি।
৭। ‘গোলমাল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির শেষ ছবিটিও বক্স অফিসে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। অজয় দেবগণ অভিনীত ‘গোলমাল এগেইন’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৭ সালে। ২০০ কোটি টাকা ব্যবসা করেছিল ‘গোলমাল এগেইন’।
৮। ২০১৮-র শেষ দিকে মুক্তি পেয়ে এক সপ্তাহের মধ্যেই ১০০ কোটির ক্লাবে চলে যায় সিম্বা। গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছিল ‘সিম্বা’। আর মুক্তির পাঁচ দিনের মাথায় এই ‘সিম্বা’র সংগ্রহ ১২৪ কোটি টাকা।
রোহিত শেট্টির ছোঁয়া মানেই যে সেই ছবি ছুঁয়ে ফেলবে ১০০ কোটির ক্লাব তা বলাই বাহুল্য। সিনেমাপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তাঁর পরবর্তী সিনেমার জন্য।