কর্মনাশা বনধে ছুটি নেই কোনও। প্রতিবারের মতো এবারও বনধ রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিল রাজ্য। আজ শুক্রবার নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৭-১০ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ছুটি নিতে পারবেন না। নেওয়া যাবে না অর্ধ দিবস ছুটিও। রাস্তায় গাড়ি চলছে না, বা অন্য কোনও সমস্যা দেখিয়েও এই কয়েকদিন ছুটি নেওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন।
নবান্নের কড়া নির্দেশ, নির্দিষ্ট এই দিনগুলিতে কেউ না কর্মস্থলে না গেলে তাঁকে শোকজ করা হবে। জবাব না দিলে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছুটি ও একদিনের বেতনও কাটা যাবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ৪ জানুয়ারির আগে থেকে যাঁরা ছুটিতে আছেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বা পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যুর কারণে ছুটি নিয়েছেন, তাঁদের জন্য এই নির্দেশ প্রযোজ্য নয় বলে জানিয়েছে সরকার। যে সমস্ত মহিলা কর্মচারীরা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন তাঁদেরও ছাড় দেওয়া হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার পর থেকেই কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে ধর্মঘটে সরকারি কর্মচারীদের কাজে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক করেন। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধে না হয়, সে কারণে পরিবহণ দফতরের উদ্যোগেও ব্যাপক সংখ্যায় সরকারি বাস চালানো হয়। কলকাতা-সহ জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে পুলিশ পিকেট। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বনধ-ধর্মঘট রুখতে মমতার এই দাওয়াইতে সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকেও বনধ সম্পর্কে সেই আতঙ্কের ধারণা চলে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে ৮ ও ৯ জানুয়ারি দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শ্রমিক সংগঠন। ধর্মঘটের প্রচারে সরকারি বাসের টিকিটের মতো পোস্টারও ছাপিয়েছে তারা।