১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেডের সভায় ঘর ভাঙতে চলেছে বিজেপির। তেমনই ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ব্রিগেডের সভায় হেভিওয়েট বিজেপি বিরোধী নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন পাটনা সাহিবের বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা ও বাজপেয়ী সরকারের প্রাক্তন বিদেশ ও অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহাও। শত্রুঘ্ন ও যশবন্ত দুজনেই কট্টর মোদী সমালোচক হিসাবে পরিচিত। লোকসভা ভোটে আসানসোল থেকে তৃণমূলের টিকিটে শত্রুঘ্নর ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে। অভিষেকের মন্তব্যে সেই জল্পনা আরও জোরদার হল।
প্রসঙ্গত, বিহারের গুরুত্বপূর্ণ নেতা শত্রুঘ্ন একাধিকবার বিজেপি নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেললেও, হিন্দী বলয়ে তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের পথে হাঁটেননি অমিত শাহ।
ব্রিগেডের জনসভায় কারা উপস্থিত থাকবেন সে কথা ঘোষণা করতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতানেত্রী থেকে গোটা দেশের একাধিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ব্রিগেডে উপস্থিত হবেন। সভায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে শরদ পাওয়ার, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব হাজির হবেন। আসবেন ডিএমকে-র এম কে স্ট্যালিন, শরদ যাদব-সহ শত্রুঘ্ন সিনহা ও যশবন্ত সিনহার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব’। তাঁর কটাক্ষ, ‘এই ব্রিগেড থেকেই ৩৪ বছরের জগদ্দল পাথর বামফ্রন্টের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ৪ বছরের শিশু বিজেপিকে সরাতে আমাদের সময় লাগবে না’।