জয়ের হ্যাটট্রিক হল না। ইম্ফলে নেরোকার কাছে হেরে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে মোহনবাগানকে। বক্সের মধ্যে ফিনিশিংয়ের অভাবের খেসারত দিতে হল সবুজ-মেরুন শিবিরকে। চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে শুক্রবার আই লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় দরকার ছিল মোহনবাগানের। তবে পাহাড় থেকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে শঙ্করলালের ছেলেদের। ফলে ম্যাচ শুরুর আগে যে পজিশনে ছিল মোহনবাগান, ম্যাচের শেষেও ঠিক একই জায়গায় রয়ে গেল। অর্থাৎ পঞ্চম স্থানে। অন্যদিকে ঘরের মাঠে জয় পেয়ে লিগ শীর্ষে থাকা চেন্নাইকে ধরে ফেলল নেরোকা। তবে এক ম্যাচ বেশি খেলে।
অ্যাওয়ে ম্যাচে প্রধান্য নিয়েই খেলল মোহনবাগান। প্রায় ৫৭ শতাংশ বল পজেশন। শুরু থেকেই আক্রমণ, প্রতি-আক্রমণে শুরু হয় খেলা। তবে ২৪ মিনিটে নেরোকার হয়ে গোল মোহনবগানের প্রাক্তন খেলোয়াড় এডুর। কর্নার থেকে ব্যবধান বাড়ান তিনি। প্রথমার্ধে চাপ বাড়ালেও হেনরি, ফইয়াজরা সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হন।
অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে চাপ রাখার ফল অবশেষে পেয়ে যায় মোহনবাগান। দুর্দান্ত হেডে গোল করেন হেনরি। তবে ঘরের মাঠে জয়ের লক্ষে ফের ব্যবধান বাড়ায় নেরোকা। গোল করেন উইলিমায়স। দ্বিতীয়বার সমতা ফেরানোর লক্ষে চাপ বাড়ালেও, গোল পায়নি গঙ্গাপারের ক্লাবটি।
১০ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট দখলে নেরোকার। সমসংখ্যক ম্যাচে ১৫ পয়েন্টে মোহনবাগান। সবমিলিয়ে কঠিন ম্যাচ হলেও হারটা বরদাস্ত করতে পারছেন না ফুটবলাররা। তা ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর মেহতাব, ইউটাদের শরীরী ভাষাই বুঝিয়ে দিচ্ছিল। আর কোচ শংকরলালের চোখেমুখে তখন হতাশা ফুটে উঠছিল। হয়তো বুঝতে পারছিলেন, লিগ জয়ের থেকে ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছে দল। বাগান সমর্থকদের ব্যথা আরও বাড়াল ম্যাচ শেষে হিরো অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কার এডুর হাতে যাওয়ায়। আক্ষরিক অর্থে, ঘরশত্রুরাই এদিন ডোবাল মোহনবাগানকে।