মাসাইমারা ন্যাশনাল রিজার্ভে সিংহ-সিংহীর ছোট্ট সংসার। সিংহ বেশ যুবক, সিংহীরও বয়স বেশি নয়। প্রেম বেশ মাখো মাখো। লেজ নেড়ে, পায়ের কাছে মাথা ঘষে সিংহ-সমাজের প্রথামাফিক প্রেম নিবেদন পালা চুকে গেছে। এবার একটু ঘনিষ্ঠ হওয়ার বাসনা। প্রেমিক হেলেদুলে অনেকক্ষণ ধরেই আকারে-ইঙ্গিতে সেটা বোঝানোর চেষ্টা করছে। লজ্জা পেলেও সায় দিয়েছে প্রেমিকা।
কিছুক্ষণ লুকোচুরি খেলার পরে অবশেষে আলিঙ্গন। এরপরের দৃশ্যই, প্রেমিক সিংহের দু’চোখ আলতো বোজা, মুখে ঝরে পড়ছে তৃপ্তির আনন্দ। অন্যদিকে, প্রেমিকের খুশিতে তৃপ্ত তার প্রেমিকাও। মুখ ফিরিয়ে প্রেমিকের চোখে চোখ রেখে হাসিতে হাসি মিলিয়েছে সেও। এমনই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে পশুরাজের মুখে যে অভিব্যক্তি ফুটে ওঠে, সেটাই ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেছিলেন একদল চিত্রগ্রাহক।
ওই সব ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পশুরাজের মুখে হাসি যেন আর ধরে না। অট্টহাসি বা মুচকি হাসি নয়, শিশুর মতো একেবারে দাঁত বার করা হি হি করে হাসি। পছন্দের সঙ্গিনীর সঙ্গে সঙ্গম করতে গিয়ে প্রেমিক সিংহ একেবারে হেসে কুটোপাটি। যা ছবিগুলির সেরা ইউএসপি। বলাই বাহুল্য, আফ্রিকার রাজার অন্দরমহলের এমন সব গোপন ছবিতে ইতিমধ্যেই উঁকি মেরে ফেলেছেন লাখ খানেক ভিউয়ার।
সিংহ-সিংহীর জমাটি প্রেমের ছবি তুলে খবরের শিরোনামে চিত্রগ্রাহক ভ্যাকলাভ ইলাহ। ৫৫ বছরের ফটোগ্রাফারের কথায়, শুধু মানুষ নয়, সঙ্গিনীর সঙ্গে প্রেমের প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করে পশুরাও। সঙ্গমের সময় তাদের মুখের অভিব্যক্তিতে সেই ছাপ ফুটে ওঠে। ভ্যাকলাভ জানান, ওই সিংহ যুগলের সঙ্গমপর্ব চলেছে টানা পাঁচদিন ধরে। প্রতি ২০ মিনিট অন্তর সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছে যুগলে। দিনে প্রায় ২০০ বার যৌন সংসর্গ করেছে তারা।
তবে পশুরাজ বলে কথা, যেন তেন মহিলাতে, থুড়ি সিংহীতে কি আর মন মজে তার? আগেকার রাজাদের মতোই রূপ-সৌন্দর্য, চাল-চলন দেখেই সঙ্গিনী বাছে তারা। ভ্যাকলাভ জানান, এই ছবিতে যে যুগলকে দেখা গেছে সদ্যই শুভ মহরৎ হয়েছে তাদের প্রেমের। সম্পূর্ণ ফিল্মি কায়দায় মৃদু গর্জন করে লেজ নাড়িয়ে ভালোবাসার আর্জি জানিয়েছিল সিংহী। তাতেই হেসে কুটোপাটি খেয়ে, অবশেষে প্রেমিকার আবদার রাখতে এগিয়ে এসেছে প্রেমিক সিংহটি। এরপরের গল্প তো ওই ‘হাম বানে, তুম বানে, এক দুজে কে লিয়ে’।