বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক নিয়ে এ রাজ্যের নানা গবেষণার সুফল যাতে সমাজের তৃণমুল স্তরে পৌঁছয়, সে ব্যাপারে এবার বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। রাজ্যে যত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হয়েছে, প্রত্যেকটির সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলাই এর মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যেই শুক্রবার সল্টলেকের বিজ্ঞান চেতনা ভবনে এক বৈঠক ডাকেন রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যাতে বিভিন্ন বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি।
সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এসেছিলেন ৩৯টি সেরা প্রতিষ্ঠানের তরফে মোট ৮৩ জন প্রতিনিধি। যার মধ্যে বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্র ও বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে খড়গপুর আইআইটি, শিবপুর আইআইএএসটি, দুর্গাপুর এনআইটি-র মতো কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর ব্রাত্য বলেন, ‘সরকারের লক্ষ্য, গবেষণার সুফল যেন সমাজের প্রান্তিক স্তরে বসবাসকারী মানুষদের কাছে পৌঁছয় এই লক্ষ্য পূরণে কি করে বিজ্ঞানের প্রচার ও প্রসার করতে পারি, বৈঠকে মূলত তা নিয়েই কথা হয়েছে। গবেষণাক্ষেত্রে রাজ্য কী কী কাজ করছে তা এই শীর্ষ বিজ্ঞানীদের জানালাম। ওঁরা নিজেদের মতামত এবং সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আমরা সেগুলি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করব। এ বিষয়ে একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হবে।’
খড়গপুর আইআইটির অধিকর্তা পার্থপ্রতিম চক্রবর্ত্রী রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে কথা বলার জন্য ‘ওয়ান উইন্ডো’ ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব দেন। আবার এনআইটি দুর্গাপুরের অধিকর্তা অনুপম বসু বলেন, ‘আমাদের অধিকাংশ গবেষণা গবেষণাগারেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়। অনেক ক্ষেত্রে বােঝা যায় না, কোনটা জ্বলন্ত সমস্যা। যেমন মাছ চাষ, জল পরিশোধন নিয়ে যদি গবেষণা করি, আর সেটা যদি গ্রাম বা খামারে চালু না করা যায়, তাহলে এর সুবিধে-অসুবিধে দিক গুলো জানা যাবে না। একটি পাইলট প্রজেক্ট চালু করা এবং তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের সহযোগিতা দরকার।’
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কোথায় পরিকাঠামোগত খামতি রয়েছে, বিজ্ঞানীরা তা তুলে ধরেছেন। আমি এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলব। রাজ্য সরকার এখন নানা গবেষণায় উৎসাহ দেখাচ্ছে। আমরা মনে করি, সেইসব গবেষণার কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে আরও নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলা দরকার।