রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই শক্ত হাতে রেশনিং ব্যবস্থার হাল ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই এবার রেশন ব্যবস্থার উপর আরও নজরদারি বাড়াতে জেলা পর্যায়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করেছে খাদ্য দফতর। চার সদস্যের এই কমিটিতে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও খাদ্য দপ্তরের জেলা নিয়ামক থাকবেন। জেলাশাসককে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
রেশন দোকানগুলির উপর নজরদারি রাখতে অনেক আগেই ত্রিস্তরের ভিজিল্যান্স কমিটি আছে। জেলা, ব্লক ও রেশন দোকান পর্যায়ে এই ভিজিল্যান্স কমিটি কাজ করে। এই কমিটিগুলিতে সরকারি আধিকারিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ছাড়াও সাধারণ মানুষকে রাখা হয়। জেলা পর্যায়ের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটিকে মাসে অন্তত একটি বৈঠক করে খাদ্য দফতরের কাছে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে।
কী কী বিষয় এই কমিটি দেখবে, তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছ খাদ্য দফতরের নির্দেশিকায়। এর মধ্যে রয়েছে নতুন রেশন কার্ড ইস্যু ও পুরনো কার্ড বাতিল করা। মৃত রেশন গ্রাহকদের কার্ড বাতিল হয়েছে কিনা তা দেখা। রেশন গ্রাহকরা ভালো মানের ও বরাদ্দ অনুযায়ী খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছেন কি না সে বিষয়ে নজর রাখা। কোনও ভুয়ো গোষ্ঠী যাতে রেশন দোকানের দায়িত্ব না পায়, তার জন্য পুলিশ রিপোর্টও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
রেশন দোকানের কাজকর্ম নিয়ে যে সব অভিযোগ ওঠে, তার সবগুলি কমিটির নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। রেশন কার্ড পেতে দেরি হচ্ছে বলে বহু মানুষের অভিযোগ আছে। আবার মৃত মানুষের রেশন কার্ড থেকে যাওয়ার কারণে সরকারের প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের রেশন কার্ড বাতিল করার জন্য তালিকা তৈরিতে বিশেষ উদ্যোগ ইতিমধ্যে নিয়েছে দফতর।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে নতুন রেশন দোকান চালানোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে চাইছে দফতর। এই কাজ যাতে ঠিকমতো হয়, সেটা দেখবে কমিটি। পাশাপাশি, জেলার খাদ্য নিয়ামকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ অনাহারে আছেন এমন খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এই কাজেরও নজরদারি করবে কমিটি।