কর্নাটকের চামারাজানগর জেলার সুলিভাড়ি গ্রামে প্রসাদে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হল ১১ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও ৯০ জন। এদের মধ্যে আছে ২ শিশুও। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরও ৫ জনের খোঁজ তল্লাশি চলছে।
আজ শনিবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া অসুস্থদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে আসেন। শুক্রবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থদের সঙ্গে দেখা করেন এবং মৃতদের পরিবারপিছু পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে কিচু মারান্দা মন্দিরের ভক্তরা চাল জাতীয় বিষাক্ত প্রসাদ খাওয়ার পরেই মর্মান্তিক এই ঘটনার সূত্রপাত। মন্দিরে উপস্থিত এক ভক্ত জানান যে, তাদের টমেটো, চাল আর চরণামৃতের জল দেওয়া প্রসাদ দেওয়া হচ্ছিল। প্রসাদ খাওয়ার পর বেশ কয়েকটি কাকও মারা গেছে বলে জানা গেছে।
চামারাজানগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পুত্তারঙ্গা শেট্টি হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে দেখা করে বলেন, ‘দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। তাদের মধ্যেই কেউ এই কাজ করে থাকতে পারে। এই ঘটনার পিছনে যেই থাকুক তাদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।’ রোগীদের বমি, ডায়রিয়া এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের চিকিত্সা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এক ভক্ত বলেন, পুজোর পর প্রসাদ হিসেবে তাঁদের ওই টমেটোভাত এবং সুগন্ধী জল দেওয়া হয়েছিল। টমেটোভাত খাওয়ার পরই সবার পেটব্যথা এবং বমি হতে থাকে। অসুস্থরা সবাই বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। বেশিরভাগ রোগীকেই মহীশুরের হাসপাতালগুলিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় অনেককেই ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছে।